পাকিস্তানে কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তির হামলায় প্রাণ হারাল ইসলাম প্রচারক মুফতি আবদুল বাকি নুরজাই। বালোচিস্তানের কোয়েটা বিমানবন্দরে রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি মুফতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিমানবন্দরে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বলে জানা গিয়েছে। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুফতিকে মেরে সেখান থেকে চম্পট দেয়। পাকিস্তানের পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। মুফতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শীর্ষ স্থানীয় নেতা ছিল। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে তোপ, তবে পূর্বের প্রতিবেশী নিয়ে মার্কিন পডকাস্টারকে কী বললেন মোদী?)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে তুলসির সঙ্গে বৈঠকে ডোভাল, গোপনে 'ভারত-বিরোধীদের' নিয়ে আলোচনা
এর আগে ১৫ মার্চ পাক পঞ্জাবের দিনা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় হফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবু কাতালকে। হাফিজের ভাইপো ছিল এই আবু কাতল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিলাম জেলার দিনা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত হামলাকারীদের গোলাগুলির মুখে পড়েন তারা। লস্কর-ই-তৈবার চিফ অপারেশনাল কমান্ডার পদে ছিল আবু কাতাল। সে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালানোর দায়িত্বে ছিল। (আরও পড়ুন: SC-র বিচারপতি হিসেবে শপথ জাস্টিস বাগচীর, ক'দিনের মেয়াদে ২০৩১-এ CJI হবেন তিনি?)
আরও পড়ুন: বালোচ মহিলার হামলায় 'মুখ লাল' পাক সেনার, পরপর আঘাত কালাট থেকে চমন, মৃত বহু
জম্মু অঞ্চলে, বিশেষ করে রিয়াসি ও রাজৌরি জেলায় সাধারণ মানুষকে নিশানা করে মারাত্মক সব হামলার ছক কষেছিল সে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি সন্ত্রাসীরা ডাংরি গ্রামে হামলা চালায়, গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায় এবং পাঁচজন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করে। তারা পালানোর সময়, হামলাকারীরা একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) রেখে যায়, যা পরের দিন সকালে দুই নাবালকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ৯ জুন, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় তীর্থযাত্রী ভর্তি একটি বাস সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছিল। জঙ্গি হামলার মুখে সেই বাসটি খাদে পড়ে গেলে ৯ জন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছিল। লস্কর হামলার মুখে শিবখোড়ি গুহা মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময়ই বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আবু কাতাল-সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল এই মামলায়। অভিযুক্তদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার তিন পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলারও রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিয়ালদা থেকে উদ্ধার ৬টি বন্দুক, আট রাউন্ড গুলি, STF-এর জালে ১
এই আবু কাতাল - আলি, হাবিবুল্লাহ, নোমান এবং মহম্মদ কাসিম সহ আরও বেশ কয়েকটি ছদ্মনামে পরিচিত ছিল। সীমান্তের ওপার থেকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের নিয়োগ ও মোতায়েনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল কাতাল। তাঁর মূল টার্গেটে ছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরাপত্তারক্ষীরা।