রেজাউল এইচ লস্কর
সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির জট কাটাতে এবার বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতা প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তুলল ভারত। কার্যত দিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে, এই ইস্যুতে কোনও রকমের তৃতীয়পক্ষকে চায়না দিল্লি। বিশ্বব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই এই জট কাটাতে‘কোর্ট অফ আরবিট্রেশন’ এর রাস্তা ও একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বার্তা দিয়ে নিজের সিন্ধান্ত জানিয়েছে । দুটি ভিন্ন রাস্তা ধরে সিন্ধু চুক্তি ঘিরে থাকা জট কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। জম্মু ও কাশ্মীরের কিশেনগঙ্গা রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের সমাধান সূত্রের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলল দিল্লি।
ভারতের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে তারা (বিশ্বব্যাঙ্ক) আমাদের জন্য চুক্তিটি ব্যাখ্যা করার অবস্থানে আছে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি এবং চুক্তিটি সম্পর্কে আমাদের মূল্যায়ন হল যে গ্রেডেড পদ্ধতির বিধানের একটি রাস্তা রয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ৬২ বছর পুরনো এই চুক্তির জট কাটাতে পাকিস্তানকে নোটিস পাঠিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদের ওপর কার্যত প্রেশার গেম রেখে, ২৫ জানুয়ারির নোটিসে ইসলামাবাদকে এই ইস্যুতে আলোচনায় আসার জন্য আহ্বান জানায় দিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, দুই দেশ এই ইস্যু মিটিয়ে ফেলবে আলোচনার মাধ্যমে। বিশ্বব্যাঙ্ক যাতে এই ইস্যুতে নাক না গলায় তার বার্তা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানকে এই ইস্যুতে নোটিস পাঠিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলেছে ভারত। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই বিশ্বব্যাঙ্ক নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের কথা বলেছিল। তারপরই দিল্লির বার্তা যায় ইসলামাবাদে। এদিকে, ইসলামাবাদ বলছে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন এ চলা মামলার নজর ঘোরাতেই ভারতের এই পদক্ষেপ। এদিকে, দিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান যাতে বৈঠকের জায়গা স্থির করে। তবে ইসলামাবাদের তরফে এই প্রস্তাব সম্প্রকে পাল্টা কোনও বক্তব্য উঠে আসেনি। এছাড়াও সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনে যে মামলা চলছে তাতে ভারত থাকবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ৯ বছরের আলোচনার পর ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। পাকিস্তানে তখন প্রধানমন্ত্রীর তখতে মহম্মদ আয়ুব খান। এরপর তৈরি হয় বিবাদ। চুক্তি ঘিরে ভারের কিশেন গঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে আপত্তি তোলে ইসলামাবাদ। সেই থেকেই শুরু জটিলতা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup