বাজেট ২০২৫-২৬। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, একাধিক ইঞ্জিন তো বেলাইন হয়ে গেল। কার্যত তীব্র কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে ক্যানসার সহ অন্তত ৩৬টি ওষুধের দাম কমছে। এতে সাধারণ মানুষ অনেকটাই খুশি। তবে সাধারণ মধ্য়বিত্তের সবথেকে খুশির একটা বড় দিক হল আয়করে বিরাট ছাড়। এটা নিঃসন্দেহে সাধারণ মধ্যবিত্তের উপর চাপ কিছুটা কমতে পারে। মধ্য়বিত্ত চাকরিজীবীরা বেশ খুশি।
এদিকে এই কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে বড় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মধ্যবিত্ত সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হৃদয়ে রয়েছেন। ১২ লাখ পর্যন্ত আয়ে জিরো ইনকাম ট্যাক্স। প্রস্তাবিত কর ছাড় মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য় একটা বড় দিক। এই উপলক্ষে সমস্ত উপকৃতকে আমার শুভেচ্ছা।
কার্যত বড় কথা জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি স্পষ্টতই লিখে দিয়েছেন, মধ্যবিত্ত সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হৃদয়ে রয়েছেন।
স্বভাবতই আয়করে এই ছাড়ের জেরে মধ্য়বিত্ত মানুষরা অত্যন্ত উপকৃত হবেন।
১২ লাখ পর্যন্ত যাদের আয় তাদের জিরো আয়। যারা মধ্য়বিত্ত, নিম্নবিত্ত তাদের কোনও কর দিতে হবে না। জানিয়েছেন বিজেপি এমপি তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এই বাজেট শিল্পায়নের বাজেট, এই বাজেট অসুস্থ রোগীদের পাশে থাকার বাজেট। পশ্চিমবঙ্গের কটন হোসিয়ারি শিল্পের জন্য় যারা আছেন তাদের জন্য এই বাজেট। এই বাজেট মধ্যবিত্তের জন্য় বাজেট। করদাতারা শিক্ষিত। তারা জানেন তারা কী ছাড় পেয়েছেন। তাদের বোঝানোর জন্য় তৃণমূলকে দরকার হবে না। জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। একাধিক বিজেপি নেতা এনিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
তবে এই আয়কর ছাড়ের ঘোষণার জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মধ্যবিত্তরা। চাকরিজীবী সাধারণ মানুষ অত্যন্ত খুশি। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় পেনশনভোগীরা এই আয়কর ছাড়ে অত্যন্ত খুশি। তবে অনেকেই বলছেন, এই আয়কর ছাড়ে অনেকেই খুশি। সাধারণ ওষুধের ক্ষেত্রে ছাড় হলে খুব ভালো হত। সেই সঙ্গেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে যদি লাগাম থাকে তাহলে অত্যন্ত ভালো হয়।
তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় অবশ্য জানিয়েছেন, ‘বাংলা থেকে ১২জন বিজেপির সাংসদ রয়েছে। তারপরও বাংলা বঞ্চিত। এই নিয়ে বিজেপি সাংসদরা কিছু বললেন না। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। আজও বঞ্চিত।’