কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় বাড়ছে হাম। ইতিমধ্যেই হাম রুখতে টিকা দিতে শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু, সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাস। এরফলে অনেকেই এই টিকা নিতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে মানস্থাকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের কাছে আর্জি জানাল প্রশাসন।আধিকারিকদের মতে, উত্তর কেরালার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় টিকা দিতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই এই টিকা নিতে অস্বীকার করছেন। কারণ তাঁদের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যে এই সমস্ত টিকা শুকর থেকে তৈরি হয়েছে। তাছাড়া এই টিকা নিলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওই সমস্ত মানুষ টিকা নিতে এগিয়ে আসছে না। অনেকেই এই টিকাকে ‘হারাম’ (নিষিদ্ধ) বলে মনে করছেন। আর সেই কারণেই দেখা দিচ্ছে সমস্যা। এনিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। সংকট কাটিয়ে উঠতে তারা বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের এবং এনজিওর সহায়তা চেয়েছে। জামিয়াতুল উলামা, জামাত-ই-ইসলামি সহ এবং অন্যান্য ইসলামিক সংগঠনের কাছে সাহায্য চেয়েছে প্রশাসন। সংগঠনের নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন, তারা মানুষের ভয় দূর করতে সাহায্য করবে। এরজন্য ধর্মীয় কেন্দ্রগুলিতে তারা সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালাবেন বলে জানিয়েছেন। সংগঠনের এক নেতার কথায়, আমরা এই বিষয়ে মানুষের ভুল বিশ্বাস দূর করতে সাহায্য করব।’এদিকে, হামের বার বাড়ন্ত রুখতে ইতিমধ্যেই স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, বৃহস্পতিবার মালাপ্পুরমে হামের মোট সংখ্যা বেড়ে ৪৭০ জনে পৌঁছেছে। সংক্রমিতদের ৯৫ শতাংশ টিকা নেননি। এই জেলায় পাঁচ বছরের কম বয়সি ১ লক্ষ ৬০ হাজার জন শিশুকে এখনও টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রশাসনের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিদিন ১০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।জেলা শাসক ভি আর প্রেমকুমার জানিয়েছেন, ‘আমরা টিকাদান কর্মসূচী শুরু করেছি। দ্রুত টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে বলেছি। তিনি আরও বলেন, যারা টিকা ভীতি ছড়াচ্ছে এবং মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।