অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করল বাংলাদেশের ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন। তাঁদের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল এবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো হবে না। তবে এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত বদল করলেন। এবারও অষ্টমীতে কুমারী পুজো হবে ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দুর্গাপুজোতে। করোনা পর্বে সেখানে একবার কুমারী পুজো বন্ধ ছিল। তবে এবার প্রাথমিকভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিলেও ফের তারা সিদ্ধান্ত বদল করেছেন বলে খবর। মূলত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ- জামানের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরেই তাঁরা কুমারী পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। এবার সেখানে দুর্গাপুজো কতটা শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেদিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। কারণ ইতিমধ্য়েই জানা গিয়েছে একাধিক জায়গায় মূর্তি ভাঙার ঘটনা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এসবের জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছিল বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। তবে তার মধ্যেই ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এবার তাঁরা কুমারী পুজো করবেন না। এই খবর ছড়িয়ে প়ড়েছিল গোটা বিশ্বে। তারপরই সেনাপ্রধান প্রয়োজনীয় সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরই মিশন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত বদল করেছেন।
সূত্রের খবর, শনিবার রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। তিনি মহারাজদের সঙ্গে কথা বলেন। সেনার তরফ থেকে অনুরোধ করা হয় আপনারা কুমারী পুজো বাদ দেবেন না। প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এরপরই আশ্বস্ত হয়েছে মিশন কর্তৃপক্ষ। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কুমারী পুজো করা হবে।
এবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ( স্বপন মহারাজ)। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিশনের প্রধান পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ কুমারী পুজোর আয়োজন করা হবে বলে সেনাবাহিনীকে কথা দিয়েছেন। আমরা সেটা করার উদ্যোগ নিচ্ছি।
এদিকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আগেই জানিয়েছিলেন, সবাই যার যা ধর্ম সেটা পালন করবেন। সেজন্য যা কিছু করতে হয় তা আমরা করব। আপনারা নির্ভয়ে পুজোমণ্ডপে যাবেন। পুজো করবেন। আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত আগেই জানিয়েছিলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের সংখ্য়ালঘুরা। তাই এবার পুজো কতটা উৎসবমুখর হবে সেটা বলতে পারব না।