
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
এক দেশ এক ভোট। এবার যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি হল। সেই কমিটি ১২৯তম অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪ ও ইউনিয়ন টেরিটরিজ আইন( অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪ খতিয়ে দেখবে। সেই জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে রয়েছেন ৩৯জন সদস্য।লোকসভা থেকে রয়েছেন ২৭জন। আর রাজ্যসভা থেকে রয়েছেন ১২জন।
বিজেপি এমপি পিপি চৌধুরী এই কমিটির চেয়ারপার্সন হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে এক দেশ এক ভোট পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সরকারের একটা বড় উদ্যোগ। এই বিলে এক দেশ এক ভোটের উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই কমিটিতে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা থাকবেন।
এই কমিটির সদস্যদের মধ্য়ে অন্য়তম যাঁরা থাকছেন তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম হলেন অনুরাগ ঠাকুর, বাঁশুরি স্বরাজ, সম্বিত পাত্র রয়েছেন। অন্য়দিকে বিরোধীদের মধ্য়ে অন্য়তম প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, মণীশ তিওয়ারি, সুপ্রিয়া সুলের মতো নেতৃত্বরা রয়েছেন।
৩৯জন সদস্যের মধ্য়ে বিজেপি থেকে রয়েছেন ১৬জন, পাঁচজন রয়েছেন কংগ্রেস থেকে বাকিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে রয়েছেন। এনডিএর তরফ থেকে রয়েছেন ১৯জন সদস্য, ইন্ডিয়া জোটের তরফে রয়েছেন ১৫জন। সেই সঙ্গেই বিজেডি ও ওয়াইএসআরসিপি যারা শাসক জোট বা বিরোধী কারোর সঙ্গেই নেই তাঁদের প্রতিনিধিরাও থাকছেন এই কমিটিতে।
মনে করা হচ্ছে এই যৌথ সংসদীয় কমিটি পরবর্তী সংসদীয় সেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। তবে যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে এই কমিটির মেয়াদের কিছুটা হেরফের হতে পারে।
এদিকে ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ হয়েছে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল। অবশ্য় বিলটি পেশ করার ক্ষেত্রে বিরোধীরা ডিভিশনের (ভোটাভুটি) দাবি তোলেন। সেই মতো স্পিকার ভোটাভুটির দাবি মেনে নেন। এবং এই প্রথম নয়া সংসদ ভবনে ইলেকট্রনিক সিস্টেমে ভোটাভুটি হয়। এদিকে বিল পেশের পক্ষে ভোট দিলেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন। এই বিল পেশ করার পরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রস্তাব করেন, এই বিলগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত।
এই বিল প্রসঙ্গে এর আগে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছিলেন, 'বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী নেতাদের উত্থাপিত প্রতিটি দাবি, যুক্তি ও উদ্বেগকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অসাংবিধানিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বিরোধী এক দেশ -এক ভোট বিল এনে তাদের রাস্তা তৈরি করেছে। এটা বিচার বিবেচনা করে আইনের সংস্কার নয়। এটা ভারতের গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করার জন্য এটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কর্তৃত্ব। আমাদের সাংসদরা এই বিলের বিরোধিতা করবেন সংসদে। দিল্লি স্বৈরাচারী ইচ্ছার কাছে বাংলা মাথা নত করবে না। এই লড়াই ভারতের গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য।'
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports