এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠান কতটা নির্বিঘ্নে হয় সেদিকে ছিলেন অনেকে। তবে পুজোর আগে থেকে জানা গিয়েছিল এবারও মূর্তি ভাঙা হয়েছে পুজোর আগে। আর এবার অভিযোগ উঠল চট্টগ্রামের একটা দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ইসলামী গান পরিবেশন করা হয়েছিল। সেই ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। কার্যত শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার ঝ়ড় ওঠে। এরপর সূত্রের খবর, এই ঘটনায় বাংলাদেশের পুলিশ ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ইসলামী গানের অনুষ্ঠান কেন? এদিকে এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত অভিযান চলে। শেষ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। শহিদুল করিম ও নুরুল ইসলাম নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে চট্টগ্রাম মহানগর পুজো উদযাপ পরিষদ একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কালচারাল আকাদেমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে যে দুটি গান পরিবেশন করেছিল তা চমকে দেওয়ার মতো। কার্যত সেই গানের কথা ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে নানা কথা উঠতে থাকে। মূলত সেই গানে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়েই আপত্তি ওঠে। কারণ অনেকের মতে দুর্গাপুজো সর্বজনীন উৎসব হলেও সেখানে ইসলামি গান পরিবেশন করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সূত্রের খবর, ওই সংগঠনের ৬জন সদস্য এসে অনুরোধ করেছিল তার গান পরিবেশন করতে চান। তাদের মধ্যে একটা গান ছিল শুধু মুসলামানের লাগি আসেনিকো ইসলাম। তবে ইসলামি ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান পরিস্কার করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,তাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এমনকী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
এমনকী একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমেও পূর্ণাঙ্গ তদন্তও চেয়েছেন তারা।
এদিকে দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে ওই ধরনের গান শোনার পরেই পুজো উদ্যোক্তাদের তরফেও এনিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। সনাতনীরা রাস্তায় বিক্ষোভও দেখান। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের দাবিও রেখেছিলেন তারা। তবে পুলিশ তারপরই তদন্তে নামে ।
প্রসঙ্গত এবার প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস হিন্দু সহ অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার উপর বিশেষ জোর দেন।