ইজরায়েলের ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিন ইরনি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই ভোররাত ২টোর সময় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানে হত্যা করা হয়। সকালে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী বিবৃতি জারি করে এই তথ্য জানায়। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে শোকবার্তা প্রকাশ করে। জানানো হয়, বুধবার ভোরে তেহরানে অবস্থিত ইসমাইল হানিয়ার অফিসে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলাতেই ইসমাইল হানিয়া এবং তাঁর এক দেহরক্ষী প্রাণ হারান। বিগত কয়েক মাস ধরে এই হামাসের সঙ্গেই যুদ্ধে লিপ্ত ইজরায়েল। এই আবহে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ইজরায়েলের হাত আছে বলেই অভিযোগ করছে ইরান। এদিকে ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নীরব রয়েছে। (আরও পড়ুন: হামাস নেতার সঙ্গে ইরানে একই ফ্রেমে গডকরি! ইসমাইল হানিয়ার হত্যার পর সামনে ছবি)
আরও পড়ুন: 'কমলা কি ভারতীয়…', প্রতিপক্ষের জাতিগত সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন ট্রাম্পের, এল জবাবও
আরও পড়ুন: 'মমতা যখন...', রেল দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্নে বিদ্ধ হয়ে সংসদে 'রেগে লাল' বৈষ্ণব
আরও পড়ুন: প্যাংগঙে নয়া সেতু তৈরি করা চিন চাইছে ভারতের সাথে শান্তি আলোচনায় গতি আনতে!
উল্লেখ্য, গতবছর অক্টোবর থেকেই ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। এরই মাঝে ৩৯ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে গাজায়। প্রসঙ্গত, গতবছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল কয়েক হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের কাটাতার কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। (আরও পড়ুন: সাইবার হানার জেরে বন্ধ কোন কোন ব্যাঙ্কের UPI পরিষেবা? যা বলছে NCPI...)
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি দিল্লিতে,নতুন সংসদে চুঁইয়ে পড়ছে জল! ভাইরাল সাংসদের পোস্ট করা ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: 'পরীক্ষার শেষ মিনিটে স্পিড বাড়ল হাতের', শেষ দিনে কত লোকে ফাইল করলেন ITR?
আরও পড়ুন: SC, ST-র সাব-ক্লাসিফিকেশন করতে পারে রাজ্য, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলায় কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। গাজায় যা পরিস্থিতি, তাতে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ নিরপরাধ প্যালেস্তিনীয়া। যুদ্ধ শুরুর সময়ে গাজায় ২৩ লাখের বসবাস ছিল। তবে ক্রমেই কয়েক লাখ মানুষ গাজা ছেড়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্যালেস্তাইন অথোরিটির থেকে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল হামাস। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয় তাদের সেই সরকার। তবে আক্ষরিক অর্থে গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। আর এই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল। তবে এই যুদ্ধে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।