
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র বা মাদক পাচারের অন্তত ৯৯টি চেষ্টা গত এক বছরে বানচাল করে বিএসএফ। এই সময় থেকেই গোয়েন্দারা আশঙ্কা করে এসেছিলেন যে ভারতে যেকোনও সময়ে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। বিস্ফোরক বোঝাই করে যেভাবে জম্মুতে হামলা চালানো হয়, এর আশঙ্কা গত একবছর ধরেই করে এসেছে গোয়েন্দারা। তবে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কোনও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটানো হয়নি। জওয়ানদের দৃষ্টি শক্তি এবং বন্দুকের টিপের উপর ভরসা রেখেই ড্রোন মোকাবিলায় নেমেছিল সেনা। এর জন্যে জওয়ানদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তবে আধুনিক কোনও প্রযুক্তির আমদানি হয়নি।
ড্রোন বিরোধী প্রযুক্তি যে ভারতের হাতে নেই, এমনটা নয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ডিআরডিও। তবে সেই প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এখন হঠাত্ ড্রোন হামলার ভয় সত্যি হয়ে দেখা দেওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে।
রবিবার জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনার বিশেষ টেকনিক্যাল এলাকায় ড্রোন হামলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ছিলেন রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অমিত ডোভাল। সূত্রের খবর, কিভাবে নাশকতা হামলার মোকবিলা করা হবে, তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়। সেক্ষেত্রে সেনার হাতে কী কী আধুনিক প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তুলে দেওয়া যায়, তা নিয়ে কথা হয়। এর জন্য বেশি করে যুবশক্তিকে সেনায় নিয়োগ করতে চায় সরকার।
ড্রোন হামলাকে ঠেকাতে হলে দরকার বৈদ্যুতিন ট্র্যাকার সিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ড্রোন নিষ্ক্রিয় করতে দরকার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক, বৈদ্যুতিন চৌম্বকীয় পালস, মাইক্রোওয়েভ এমনকি সনিক বুম বন্দুকের সফল ব্যবহার। কিন্তু ড্রোন নিরোধক এই প্রযুক্তিগুলি এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়তেই রয়েছে। সামরিক ঘাঁটি এবং সম্পদ রক্ষার জন্য এই সিস্টেমগুলির বৃহৎ আকারে উৎপাদন বা সংহতকরনের কাজ এখনও শুরু হয়নি। যতদিন তা শুরু না হচ্ছে ততদিন ড্রোন ভারতীয় সুরক্ষাবাহিনীর কাছে একটা মাথাব্যাথা হয়েই থাকবে এবং ততদিন পর্যন্ত সমরসুরক্ষার প্রচলিত নীতির দ্বারাই ড্রোনকে প্রতিহত করতে হবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports