মহম্মদ ইউনুসের সরকারের জমানায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আর সেই আগুন থেকে বাঁচতে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে নাগরিকরা। শুধু তাই নয়, জঙ্গিরাও ঢুকে পড়ছে এখানে। ধরাও পড়ছে। এখন বাংলাদেশে শুধু হিন্দুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে তাই নয়, বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি থেকে শুরু করে যাবতীয় ঐতিহ্য আজ ভূলুন্ঠিত। তাই নতুন করে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। যার প্রভাব পড়ছে সীমান্তে। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের ঝামেলা অব্যাহত রয়েছে। আবার সীমান্তে যেসব কৃষকদের জমি রয়েছে তাদের ফসল চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ আসছে। এই চরম অশান্তির মধ্যে আবার একবার বিএসএফ–বিজিবি বৈঠকে বসল।
বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ সীমান্তে বেড়া দিতে দিচ্ছে না। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে দেখে এবার সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশই তৎপর হয়েছে। কারণ এই শান্তিস্থাপন না হলে হিংসা দু’তরফেই ছড়িয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই বহু বংলাদেশের নাগরিক এপার বাংলায় গ্রেফতার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দুই দেশই পরস্পরকে সাহায্য করবে। এই বৈঠকে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ইন্সপেক্টর জেনারেল মনিন্দর পি.এস.পাওয়ার এবং বর্ডার বিজিবির উত্তর–পশ্চিম অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম.জাহিদুর রহমান আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেনার তৈরি সেতু, আটকে বহু পর্যটক, বিপর্যয় উত্তর সিকিমে
এখন বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা ছাড়া পেয়ে যাওয়ার পর এপারে ঢুকে আসার প্রবল চেষ্টা করছে। অনেক সময়ই বিএসএফের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। পরে অবশ্য প্রত্যেকেই ধরা পড়ে যাচ্ছে। এই বৈঠকে সীমান্তে শান্তি জোরদার করার পাশাপাশি সমন্বয় বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার আবেদন করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাঁটাতার পেরিয়ে যাতায়াত করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেটা বাংলাদেশ বেশি করে থাকছে। তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উন্নয়নের নজরদারি, বেআইনি পাচার ঠেকাতে আশু করনীয় কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বিশেষভাবে জোর দিতে বলা হয়।