
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভারত এবং চিনের সম্পর্ক স্বাভাবিক জায়গায় নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে, সেজন্য দুই দেশকে ‘প্রকৃত সমস্যা’-র সমাধান করতে হবে। নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গাংকে এমনই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেইসঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চিনের যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা নিয়েই বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে। যা একেবারেই যথার্থ বলে জানিয়েছেন।
গত বছর চিনের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে গাং নিযুক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে প্রথমবার আলোচনার টেবিলে বসেন জয়শংকর। যে গাংকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। সেই বৈঠকের পর ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, তিন বছর ধরে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে যে সংঘাত চলছে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে এবং জিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ গাঙের কাছে কোনও রাখঢাক না করেই সীমান্ত সংঘাত নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
জয়শংকর বলেন, 'আমরা একে অপরের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের মতো আলোচনা করেছি। আমাদের (দ্বিপাক্ষিক) বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, যথার্থভাবে তা নিয়েই আমাদের আলোচনার বেশিরভাগ সময় কেটেছে। সেই সম্পর্ক যে স্বাভাবিক জায়গায় নেই, সে বিষয়ে আপনাদের অনেকেই আমায় বলতে শুনেছেন।' সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'বৈঠকে আমি সেই বিশেষণই ব্যবহার করেছি। সেই সম্পর্কে জ্বলন্ত সমস্যা আছে। যা খতিয়ে দেখতে হবে। সেই বিষয় নিয়ে একেবারে খোলাখুলিভাবে আমাদের আলোচনা করতে হবে। সেটাই আজ করার চেষ্টা করেছি আমরা।'
এমনিতে ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়েছে। সেই বছরের জুনে গালওয়ানে ভারত এবং চিনের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের। চিনের হতাহতের সংখ্যাও নেহাত কম ছিল না। যদিও যথারীতি চিনের তরফে সেই সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার প্রবল চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপর থেকে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে দু'দেশের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কয়েকটি জায়গা থেকে সেনা সরানো হলেও কয়েকটি জায়গায় এখনও জটিলতা কাটেনি। বরং তিন বছর পার হতে চললেও এখন রেষারেষি রয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরেও সংঘাতে জড়িয়েছে দুই দেশ।
আরও পড়ুন: LAC Standoff: সীমান্ত থেকে সেনা সরালে তবেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, বেজিংয়ে স্পষ্ট বার্তা ভারতের
সেই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির তরফে একাধিকবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না। জয়শংকর নিজে একাধিকবার কূটনৈতিক স্তরে সেই বার্তা দিয়েছেন। যদিও চিনের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে সংঘাত চলছে, সেটার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। বরং দুটি আলাদা ট্র্যাকে আছে বলে বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হতে থাকে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports