কেন্দ্রের সবথেকে প্রবীণ মন্ত্রী তো বটেই। বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যেও তাঁর যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা আছে।রয়েছে অতীত অভিজ্ঞতাও। সেই তিন কারণেই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে গত রবিবারের বৈঠকে পৌরহিত্যের দায়িত্ব প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে একথাই জানিয়েছেন কেন্দ্রের দু'জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্বাদশ শ্রেণি এবং অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ থাকা সত্ত্বেও বৈঠকের পৌরহিত্য করেছিলেন রাজনাথ। পোখরিয়াল বলেন, ‘এই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দেশের এতজন পড়ুয়ার ভাগ্য জড়িয়ে যে রাজনাথজিকে পৌরহিত্য করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তা থেকেই বোঝা যায় যে পুরো বিষয়টি আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’ নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক জানান, আলোচনার পরই রাজনাথকে বেছে নিয়েছিলেন মোদী। বিশেষত শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও আছে রাজনাথের। যিনি ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশে গঠিত প্রথম বিজেপি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। দু'বছর শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই সময় পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে আইন এনেছিলেন। যা জামিন-অযোগ্য ছিল। সেইসঙ্গে পুলিশকে পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিযান চালানোর অধিকারও প্রদান করা হয়েছিল।অপর এক আধিকারিক বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় ছিল যে বৈঠকে সব রাজ্য থাকবে কিনা। বিভিন্ন দলের মধ্যে রাজনাথের ভালোমতো গ্রহণযোগ্যতা আছে। তাঁকে বেছে নেওয়ার এটা সবথেকে বড় কারণ ছিল।’ দুই আধিকারিকেরই বক্তব্য, রাজনাথকে পৌরহিত্যের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে কাজে লেগেছে, তা তো বৈঠক থেকেই প্রমাণিত হয়েছে।রবিবার বৈঠকের পর পোখরিয়াল জানিয়েছিলেন, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের থেকে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে। তাও মঙ্গলবারের মধ্যে বিস্তারিত পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় নিয়ে আমরা শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব। সেইসঙ্গে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মনে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে পারব।’ একইসঙ্গে পোখরিয়ালের আশ্বাস, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে পড়ুয়া, শিক্ষকদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’