বড়সড় উত্থানের পর আজও ভারতীয় বাজারে বাড়ল সোনার দাম। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,০০০ টাকা। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম ০.২৪ শতাংশ বেড়ে ৬১,৬৫৫ টাকায় ঠেকেছে।
গত শুক্রবার ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়েছিল ৫২৪ টাকা বা ১.১১ শতাংশ। কিছুটা দুর্বল থাকলেও সেই রেশ বজায় রেখে সোমবার বেড়েছে সোনার দাম। তার ফলে রেকর্ডের থেকে ৮,২০০ টাকার মতো কম পড়ছে হলুদ ধাতু। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম ঠেকেছিল ৫৬,১৯১ টাকায়। যা ভারতীয় বাজারে সোনার সর্বোচ্চ স্তর ছিল। অন্যদিকে, গত সেশনে এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম বেড়েছিল ০.৭৩ শতাংশ বা ০.৪৪ শতাংশ।
বিশ্ব বাজারে আবার সোমবার সোনার দাম অবচিল আছে। বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৮৩.৯১ ডলার পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন যে সম্পত্তি ক্রয় নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভ। তারইমধ্যে নভেম্বর কর্মসংস্থানের হার ৪.২ শতাংশে ঠেকেছে। যা ২১ মাসে সর্বনিম্ন। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার সোনার দাম অবিচল আছে। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে এক আউন্স রুপোর ০.৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২.৫৭ ডলার।
ভারতে সোনার দামের ভবিষ্যত্
‘লাইভ মিন্টে’ শেয়ার ইন্ডিয়ার রিসার্চের প্রধান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট রবি কুমার জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তার জেরে সোনার দামে হেরফের হচ্ছে। ওমিক্রনের ভয়াবহতা বুঝতে লগ্নিকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দিকে তাকিয়ে আছেন। আপাতত স্বল্পকালীন সময় ১০ গ্রাম সোনা ৪৭,০০০ টাকা থেকে ৪৬,৮০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। যদি ওমিক্রনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্টেনর অভিষেক চৌহানের মতে, আগামী কয়েক মাসে ৫২,০০০ টাকার স্তর ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে রেকর্ড তৈরি হবে কিনা, তা নির্ভর করবে আগামী মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণের উপর।