বাবাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর মেয়েদের। আর স্বামীকে বাঁচানোর পরিবর্তে, তাঁর পা বেঁধে রেখেছেন স্ত্রী। আর্তনাদ শুনেও অত্যাচার থামাননি মেয়েরা। এমনই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছে খোদ পুলিশও। সম্প্রতি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ট্যাংরা-হালতুর পুনরাবৃত্তি, আত্মঘাতী লেকচারার ও তাঁর স্ত্রী, মিলল ২ সন্তানের দেহ)
আরও পড়ুন -ভাঁড়ারে টান! তাও মুজিবকে মুছতে মরিয়া ইউনুসরা, ইদে টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত
বাবার উপর মেয়েদের নির্মম অত্যাচারের ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মোরেনাতে। পুলিশ জানিয়েছে, হরেন্দ্র মৌর্য নামের এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, পারিবারিক অশান্তির জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পরেই মেয়েদের অত্যাচারের ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসে। প্রৌঢ় আত্মহত্যা করেছেন না তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।জানা গেছে, হরেন্দ্র পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর পরিবার। ১ মার্চে একসঙ্গে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়েদের বিয়ের পরেই স্ত্রী জানান, তিনিও এবার থেকে আলাদা থাকবেন। স্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন হরেন্দ্র। ঘরেই নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন। সেই ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। (আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে সত্যি দাবি করেননি ট্রাম্প, সংসদীয় প্যানেলে জানাল মোদী সরকার)
আরও পড়ুন: দিলীপের ঢাল হয়ে তথাগতকে জবাব তরুণজ্যোতির, প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরের বিরোধ
এই ঘটনার তদন্ত শুরুর পরেই ১ ফেব্রুয়ারির একটি ভিডিও পুলিশের হাতে আসে। যেখানে হরেন্দ্রকে ব্যাপক মারধর করতে দেখা যায়।ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মেয়েরা যখন লাঠি দিয়ে বাবাকে মারছিলেন, তখন তাঁদের বাধা দিতে এসেছিল ভাই। কিন্তু তাকে সরিয়ে দিয়ে আবারও অত্যাচার শুরু হয়। ভিডিওটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। তদন্ত চলছে। সিনিয়র পুলিশ অফিসার দিপালী চান্দোরিয়া বলেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গোয়ালিয়র মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক অশান্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হবে এবং সেই অনুসারে তদন্ত করা হবে। '