শ্রুতি কক্কর
সাংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে। তবে দিল্লি হাইকোর্টেও স্বস্তি পেলেন না তিনি। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট এখনই কোনও রেহাই দিতে চায়নি।এদিকে ৭ জানুয়ারির মধ্য়ে সরকারি কোঠায় পাওয়া বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে মহুয়াকে। সেই নোটিশ খারিজ করার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট এনিয়ে এখনই কোনও রায় দেয়নি।
গত ৮ ডিসেম্বর বরখাস্ত করা হয়েছিল মহুয়াকে। তিনি ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এথিক্স কমিটি তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। এরপ ধ্বনি ভোটে তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিরোধীরাও ওয়াক আউটও করেছিলেন। ব্যবসায়ী দর্শন হীরনন্দানির কাছ থেকে উপহার ও নগদ টাকা নিয়ে তিনি সংসদে আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে এরপর সুপ্রিম কোর্টে যান মহুয়া। সেখানে গত ১৫ ডিসেম্বর বলা হয়েছিল আগামী ৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন করা হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছিলেন, গোটা ফাইলটা পড়ার মতো সময় তিনি পাননি। এরপর আদালত ৪ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে।
এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত ওই ভবনে থাকার অনুমতি চেয়েছিলেন মহুয়া। তিনি জানিয়েছিলেন এখনই বাংলো নিয়ে নেওয়া হলে সমস্যা হবে। তিনি পার্টি কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন না। তবে এখনই তা থেকে তিনি রেহাই পেলেন না। আদালত এনিয়ে এখনই কোনও রায় দেয়নি। এদিকে আদৌ তিনি নির্ধারিত সময়ের পরেও ওই ভবনে থাকতে পারেন কি না সেটাই দেখার।
মহুয়া মৈত্রকে সাংসদ পদ থেকে বের করার পরে এবার বাংলো থেকে বের করার জন্য় কার্যত তৎপর হয়েছে হাউজিং কমিটি। অবিলম্বে বাংলো খালি করে দেওয়ার জন্য় নোটিশ পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্য়ে মহুয়া মৈত্রকে বাংলো খালি করে দিতে হবে। কিন্তু তিনি আদৌ এই কাজ করবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তবে মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে বারে বারেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী একাধিকবার দেখা গিয়েছে মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব। এবার বাংলো খালি করতে হবে মহুয়াকে। প্রসঙ্গত বিশেষ কোটায় এই বাংলো পেয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর থেকে তিনি কীভাবে এই বাংলোতে থাকেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গেই মহুয়া বাংলো খালি করার জন্য় যে তৎপরতা সরকারি স্তরে শুরু হয়েছে তাকেও অতি সক্রিয়তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।