ঘটনা শনিবার রাত ১১ টার সময়ের। তখন ঝাড়খণ্ডের লাতেহার থেকে জম্মু-তাওয়াই মুরি এক্সপ্রেস সবে ছেড়েছে। আগে থেকেই যাত্রীদের কামরায় চড়ে বসেছিল ডাকাতরা। তারা ছিল সংরক্ষিত কামরায়। ট্রেন ছড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাকাতরা স্বমূর্তি ধারণ করে। ট্রেন যখন বারওয়াডি-ছিপজোহার স্টেশনের মাঝে, তখনই শুরু হয় চলন্ত ট্রেনের ভিতর ডাকাতদের তাণ্ডব।
জম্মু তাওয়াই মুরি এক্সপ্রেসে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের লাতেহারের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় যাত্রীদের মারধর করা হয়েছে বলে খবর। গুলি চলেছে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড। জানা গিয়েছে, রাত ১১ টার পর লাতেহার থেকে ট্রেন ছাড়তেই নিজেদের কীর্তি শুরু করে দেয় ডাকাতরা। এস৯ কামরায় যাত্রীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলে লুঠ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কামরায় যাত্রীদের থেকে নগদ টাকা, গয়না লুঠ করে নেয় তারা। এখানেই শেষ নয়। টলে ব্যাপক মারধর। এক মহিলা যাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করে তারা। বারওয়াডি স্টেশন থেকে ছিপজোহার স্টেশনের মাঝে ট্রেনে এই তাণ্ডব চলে। ততক্ষণে যাত্রীদের লক্ষ্য করে ভয় দেখানো হয়, চলে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি। ঘটনায় বেশ কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন।
( Video: আইফোন ১৫ ডেলিভারিতে দেরি! দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতা মারপিটে ধুন্ধুমার)
প্রশ্ন উঠছে, রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। রেলে বহু ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা হলেও, ট্রেনে ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ফের একবার যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এদিকে, শনিবারের ঘটনায় ট্রেন ডালটনগঞ্জ পৌঁছতেই যাত্রীরা ডাকাতি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। যাত্রীদের অভিযোগ, গয়না, নগদ টাকা, সমেত ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে ডাকাতরা। মোট কয়েক লক্ষ টাকার ডাকাতি হয়েছে বলে খবর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রেল সুরক্ষা বিভাগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, আগে থেকে ট্রেনে উঠে ডাকাতরা বসেছিল যাত্রী হিসাবেই। পরে তারা শুরু করে কর্মকাণ্ড।