সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে চিনা নাগরিকের আন্দোলনের খবর না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য চিনা বট সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনই দাবি করা হল রিপোর্টে। এমনিতে চিনে টুইটার নিষিদ্ধ। তবে বিভিন্ন শহরে আ্দোলনের খবর জানতে চিনারা টুইটারের ওপরই নির্ভর করে রেখেছে। কারণ, চিনা মিডিয়া পুরোপুরি কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে সরকার বিরোধী কোনও খবরই প্রকাশ করা হয় না। এই আবহে যখনই চিনা নাগরিকরা টুইটারে কোনও শহরের নাম লিখে সার্চ করছেন, তখন বিক্ষোভের খবরের বদলে তার সামনে পর্নোগ্রাফিক ভিডিয়ো চলে আসছে বলে দাবি করা হচ্ছে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে। এদিকে চিনা বটের এই ‘হামলা’র কারণে গোটা বিশ্বও চিনের আন্দোলনের বিষয়ে বেশি জানতে পারছে না।
এই ঘটনায় টুইটার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরির পরিচালক অ্যালেক্স স্ট্যামোস এই বিষয়ে বলেন, চিনের এই কীর্তিতেই স্পষ্ট যে ইলন মাস্কের অধীনে সরকারি হস্তক্ষেপ জারি থাকবে এবং বাকস্বাধীনতা প্রভাবিত হবে। এদিকে প্রযুক্তি এবং সেন্সরশিপের বিশেষজ্ঞ তথা সাংবাদিক মেংইউ ডং রবিবার টুইট করে লেখেন, ‘টুইটারে এসকর্ট বিজ্ঞাপনের প্লাবন ঘটাচ্ছে চিনা বটগুলি। সম্ভবত চিনা ব্যবহারকারীদের গণ বিক্ষোভ সম্পর্কে তথ্য ধামাচাপা দিতেই এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে, চিনে কোনও ধরনের বিক্ষোভ শুরু হলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এই বটগুলি।’
এদিকে চিনা নাগরিকদের ফোনে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম রয়েছে কি না, তা দেখতে রীতিমতো ‘নাকা চেকিং’ চালাচ্ছে চিনা পুলিশ। স্বভাবতই নিজেদের দেশের বিক্ষোভ বিদেশের সামনে তুলে ধরতে চাইছে না চিন। এই আবহে এই ধরনের অ্যাপ কেউ ব্যবহার করছেন কি না, তা নিয়ে কার্যত আতঙ্কে ভুগছে চিনা প্রশাসন।