ভার্চুয়ালি গণধর্ষণ! ঘটনা জানলে গা শিউরে উঠবে। কিন্তু কী করে সম্ভব? বাস্তব জীবনে গণধর্ষণের ঘটনা তো রয়েছেই। এবার এক ১৬ বছরেরও কমবয়সী তরুণীকে ভার্চুয়ালি গণধর্ষণ করা হল। ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন সকলে।
এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ইয়র্কে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে ওই ১৬ বছরের কিশোরী একটি গেম খেলছিলেন। গেমে তার একটি ভার্চুয়াল অবতার ছিল।এবং ভিআর হেডসেট পরে ইমারসিভ গেমে অংশ নেন ওই কিশোরী। সেখানেই তার অবতারের উপরে অশ্লীল ভাবে আক্রমণ করে কয়েকটি পুরুষ। গেমের মধ্যেই কিশোরীর ভার্চুয়াল এন্টিটিকে গণধর্ষণ করা হয়।
এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমে মেয়েটির ভার্চুয়াল এন্টিটি অর্থাৎ অবতারকে গণধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত করছে ব্রিটিশ পুলিশ। বাস্তবে এই ঘটনা না ঘটলেও এর মাধ্যমে অভিযুক্তদের ধর্ষণকারী মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তাই তাদের শাস্তি দিতে চায় নির্যাতিতা।
ডেইলি মেইলকে পুলিশ জানায়, 'যদিও ওই কিশোরী তিনি কোনও শারীরিক আঘাত পাননি, তবে বাস্তব জীবনে ধর্ষণের শিকার হওয়া ব্যক্তির মতো তিনিও মানসিক আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন। তবে বিদ্যমান আইনে অভিযুক্তদের বিচার করা অসম্ভব হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ ।
এই তদন্তে প্রশ্ন উঠেছে বাস্তবের ধর্ষণের মামলাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি মেটাভার্স অপরাধের তদন্তের জন্য সময় দিতে পারবে কি না পুলিশ। তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি ভিআর ধর্ষণের তদন্তকে সমর্থন করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, 'আমি জানি এটি বাস্তব নয় বলে প্রত্যাখ্যান করা সহজ, তবে এই ভার্চুয়াল পরিবেশেও নিজের মনের গুপ্ত বাসনা প্রকাশা পায়, তিনি আরও যুক্তি দিয়েছেন, যে কোনও শিশুর অবতারকে ধর্ষণ করতে ইচ্ছুক কেউ বাস্তব জীবনেও এটি করতে পারে।'
এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধীর মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে বলেই মনে করছেন সকলে। বাস্তব জীবন হোক বা ভার্চুয়াল গণধর্ষণের মানসিকতাকে কখনই ক্ষমা করা বা অগ্রাহ্য করা উচিত নয়।