চিনা পণ্যে ৯৭ শতাংশ শুল্ক ছাড়ের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। উলটে চিনের বিরুদ্ধে ঢাকা রাস্তায় নেমেছেন বাংলাদেশের মানুষ। তাই এবার করোনাভাইরাস প্রতিষেধক হাতিয়ার করে বাংলাদেশের মন জয়ের চেষ্টায় নামল শি জিনপিংয়ের দেশ।ঢাকায় চিনের দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হুয়ালং ইয়ান জানান, আপাতত চিনের পাঁচটি সংস্থা করোনার প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে। তা সফল হলেই প্রতিষেধক পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দু'দেশ একইসঙ্গে কাজ করছে। সেই কূটনীতির ফসল হিসেবে ঢাকায় প্রতিষেধক পাঠানোর ক্ষেত্রে বেজিং বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করবে বলে জানান চিনা কূটনীতিবিদ।করোনা সংক্রমণের গোড়া থেকেই বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে চিন। গত ২০ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোন কথা বলেছিলেন জিনপিংয়ের। করোনা মোকাবিলায় যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। তারপর গত ৮ জুন চিন থেকে বাংলাদেশে ১০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল এসেছিল। তারইমধ্যে প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানাল চিন।বিশেষজ্ঞদের মতে, চারিদিক দিয়ে ভারতকে ঘিরে ফেলাই চিনের লক্ষ্য। ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে হাতের মুঠোয় পুরে নিলেও বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে তা সম্ভবপর হয়নি। তাই বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার জন্য চেষ্টার কোনও কসুর করছে না চিন।তারই অঙ্গ হিসেবে প্রতিষেধক পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।