সবাই জীবনে সফল হতে চায়। আর সবাই এটাও জানে যে যদি সাফল্য অর্জন করতে হয় তবে কঠোর পরিশ্রম এড়ানো যাবে না। কিন্তু কখনও কখনও কেবল কঠোর পরিশ্রম করেও কিছুই অর্জন করা যায় না। তুমি নিজেই তোমার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ পাবে যারা খুব কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু দূর থেকেও সফল বলা যায় না। আসলে, জীবনে কিছু করতে হলে সঠিক পরিকল্পনাও প্রয়োজন। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিতে সাফল্যের এই সূত্রটি উল্লেখ করেছেন। তিনি কিছু ছোট ছোট অভ্যাসের কথা লিখেছেন, যা আজও জীবনে গ্রহণ করলে আপনি সাফল্য এবং সম্পদ উভয়ই পেতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে আচার্যের দেওয়া এই নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখুন।
তোমার দিনটা কেমন গেল একবার ভাবো
আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিতে বলেছেন যে, যে ব্যক্তি তার কর্মের হিসাব রাখে সে জীবনে কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। অতএব, সারাদিনে আপনি কী করেছেন তার একটি দৈনিক রেকর্ড আপনার কাছে থাকা উচিত। রাতে যখনই ঘুমাতে যাবেন, তখন কিছুটা সময় বের করে ভাবুন আপনার দিনটি কেমন গেল। তুমি কোন কোন ভুল করেছো, সেগুলো থেকে তুমি কী শিখেছো, এবং দিনটিকে আরও ভালো করার জন্য তুমি কী করতে পারতে? এইভাবে, আপনি আগামী দিনের জন্য আরও ভালো পরিকল্পনা করতে পারবেন।
তোমার জ্ঞান প্রসারিত করো
ঘুমাতে যাওয়ার আগে বইয়ের সাথে কিছুটা সময় কাটান। আধ ঘন্টা বা কমপক্ষে বিশ মিনিট ধরে একটি ভালো বই পড়ুন। এমন কিছু যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করবে। আচার্য চাণক্য বলেন যে জ্ঞানই সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনি সফল এবং ধনী হতে চান তবে আপনার জ্ঞান প্রসারিত করার দিকে মনোনিবেশ করুন।
পরের দিনের পরিকল্পনা করুন
পরের দিনটিকে আরও ভালো এবং ফলপ্রসূ করে তুলতে, আগে থেকে সঠিক পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। অতএব, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, আগামী দিনটি কীভাবে কাটাবেন তার একটি মোটামুটি রূপরেখা মনে মনে তৈরি করুন। দিনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট এজেন্ডা ঠিক করুন। বিশেষ করে সকালে কী করবেন; আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিন। এইভাবে আপনার পরবর্তী দিনটি উৎপাদনশীল হবে এবং আপনি সময়মতো আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
তোমার লক্ষ্য নিয়ে ভাবো।
আজকাল যাকে ভিজ্যুয়ালাইজেশন বলা হয়, তা আচার্য চাণক্য বহু বছর আগে তাঁর নীতিতে ব্যাখ্যা করেছিলেন। আচার্য বলেন যে, একজন ব্যক্তির মন সর্বদা তার লক্ষ্যের উপর কেন্দ্রীভূত থাকা উচিত। যার সামনে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত লক্ষ্য থাকে সে ভবিষ্যতে কখনও বিপথে যায় না এবং সে অবশ্যই সাফল্য পায়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণের জন্য আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে ভাবুন। তোমার লক্ষ্যে পৌঁছালে তোমার কেমন লাগবে, তা ভেবে দেখো। এই জিনিসগুলি আপনাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং সাফল্যের জন্য আপনার মস্তিষ্ককে পুনরায় প্রোগ্রাম করবে।
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দিয়ে আপনার দিন শেষ করুন
রাতে ঘুমানোর সময় কখনোই মনে নেতিবাচক চিন্তা আসতে দেবেন না। রাতে যখন তুমি নেতিবাচক কিছু ভাবো, তখন জিনিসগুলি আরও নেতিবাচক হতে শুরু করে। অতএব, দিনের শেষটা সবসময় খুশির সাথে কাটাও। ঘুমানোর আগে ইতিবাচক কিছু ভাবুন। তোমার জীবনের ভালো কিছু মনে রাখো এবং সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকো। এইভাবে, আপনার ঘুম ভালো হবে এবং জীবনের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিও ইতিবাচক হবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।