করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য এদিন বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। যেই নয় রাজ্যে দ্রুত কেসের সংখ্যা বাড়ছে তাদের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব এই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন। সেই নয় রাজ্যের মধ্যে আছে বাংলাও। কীভাবে করোনা রোখা যায়, তার জন্য পাঁচটি বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিতে বলা হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। এদিন যেই নয় রাজ্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল সেহুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ। করোনাকে রোখার জন্য যেই পাঁচটি ফ্যাক্টরের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে সেগুলি হল, কন্টেনমেন্ট জোনে টেস্টিং বাড়াতে হবে, কনটেনমেন্ট জোনকে অন্য জায়গার থেকে আলাদা করে রাখতে হবে, করোনা পজিটিভদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং বৃদ্ধি করতে হবে, কনটেনমেন্ট জোনে আরও ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি চালাতে হবে ও যাদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের ভালো করে ম্যাপ করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে যে কনমটেনমেন্ট জোনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে টেস্টিং বাড়াতে বলা হয়েছে রাজ্যদের। সংক্রমণকে রোখার এটাই প্রধান অস্ত্র বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কনটেনমেন্ট জোনগুলি ঠিক করে চিহ্নিত করা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। ভারতে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ১৩ লাখের ওপর। মারা গিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি কোভিড পজিটিভ মানুষ। কীভাবে মৃত্যুহার কম রাখা যায়, এদিনের বৈঠকে সেই নিয়ে কথা হয়। এর জন্যেই বয়স্ক ও যাদের শরীরে বিভিন্ন অসুখ আছে তাদের ওপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৫৪ হাজার জন। মারা গিয়েছেন ১২৯০জন। অ্যাক্টিভ কেস ১৯ হাজারের অধিক।