কয়েকদিন বাদেই তিনি ফের নির্বাচিত হতে চলেছেন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম কংগ্রেসে। এদিকে তাঁকে দল থেকে বের করা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির এই বিশেষ পর্বের আগে গোটা চিনের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে শি জিনপিংয়ের নামে পোস্টার।
বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের টুইটে চিন জুড়ে 'জিরো কোভিড' নীতি ও লকডাউন নীতির বিরোধিতা করে একাধিক পোস্টার পড়ে গিয়েছে। একাধিক পোস্টারে শি জিনপিংকে 'একনায়কতন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক' বলে উল্লেখ করেও পোস্টার পড়েছে। বহু পোস্টারে দাবি করা হচ্ছে যাতে শি জিনপিংকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এই ছবি ও ভিডিয়োগুলি ক্রমেই ভাইরাল হতে শুরু করায় তা সরিয়ে দিয়েছে চিন।
মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভিডিয়ো এসে পড়ায় তা নিয়ে অসন্তোষ জেগেছে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে। বহু জায়গার পোস্টারে লেখা রয়েছে 'আমরা কোভিড টেস্ট চাইনা, আমরা খেতে চাই।' সেখানে লেখা রয়েছে, 'একনায়কতন্ত্রী বিশ্বাসঘাতককে সরিয়ে দাও।' বেজিংয়ের জিরো-কোভিড নীতি যা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং বারবার লকডাউনের উপর ব্যাঙ্ক করে ব্যাপক সমালোচনা পেয়েছে। যদিও সরকার জোর দিয়ে বলে যে এটি প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হয়েছে। চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে শূন্য কোভিড নীতি শেষ হবে। উল্লেখ্য,চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া একটি সম্পাদকীয়তে 'ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে' সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই তা তাঁদের সমস্ত আশায় জল ঢেলে দেয় কার্যত। কংগ্রেসের আগে, কর্মকর্তারা দেশ জুড়ে প্রাদুর্ভাব রোধ করতে ছুটে গিয়েছিলেন কোভিড নিয়ন্ত্রণে এবং সাংহাইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে নতুন লকডাউন এবং বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। তবে তাতে যে লাভের লাভ হয়নি তা বলাই বাহুল্য।
কঠোর কোভিড ব্যবস্থার কারণে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খানিকটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। যখন রিয়েল এস্টেটের মন্দা জিনপিং প্রশাসনের পক্ষে যাচ্ছে না চিনে। ফলে সংকটের মেঘ যে জিনপিংকে ঘিরে রেখেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে এসবের চেয়েও চিনের রাজনৈতিক আকাশে জিনপিং কার্যত প্রকাণ্ড সূর্য হয়ে উঠছেন। যা তাঁর পূর্বসূরিরা ভয় পেয়েছিলেন, যে কোনও একজন নেতাই পর পর পাঁচ বছরের সময়সীমায় দেশের একচ্ছত্র নেতা হিসাবে উঠে আসলে দেশ একনায়কতন্ত্রের শিকার হবে, সেই আশঙ্কাকেই সামনে রেখে জিনপিংয়ের আসন্ন পুনর্নিবাচন। ফলাফল সকলেরই প্রত্যাশিত!