সময় যত এগোচ্ছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিপদ ততই বাড়ছে! আর সেটা বুঝেই মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইল বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক গোষ্ঠী ও সংস্থাগুলি। শনিবার তাদের তরফে এই দাবি জানানো হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রকাশ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উপার্জনের অন্যতম প্রধান উৎস হল, সেদেশের রেডিমেড পোশাক শিল্প। কিন্তু, বর্তমানে দেশজুড়ে যেভাবে অশান্তি বাড়ছে, তাতে প্রমাদ গুনছেন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা। এবার তাই সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। দাবি করলেন, সমস্ত শিল্পের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
ইতিমধ্যেই ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন, গাজিপুরের কাল্লাকাইরে অবস্থিত মেহমুদ জিন্স লিমিটের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রফি মেহমুদ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা শ্রমিকের ছদ্মবেশে এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। বাংলাদেশের প্রধান ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে কড়া ভাষায় এর নিন্দা করেছে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও সংস্থাগুলির তরফে যৌথভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, 'শিল্প জগতের নিরাপত্তা যদি নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে এই দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।' এই বিবৃতির নীচে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বাণিজ্যিক সংস্থা ও সংগঠনের তরফে প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন।
তাঁদের আশঙ্কা, এই ধরনের ঘটনা কখনও দেশের ভালো করতে পারে না। এর ফলে কেউ আর ব্যবসায় টাকা লাগানোর সাহস পাবেন না। উপরন্তু, বিদেশ থেকে যে বিপুল বিনিময়োগের সম্ভাবনা ছিল, তাও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সমস্ত ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের তরফ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নির্দিষ্ট কিছু দাবি রাখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রফি মেহমুদের উপর যে নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে, অবিলম্বে সেই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুসারে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যাতে আর কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলির তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কিছু অশুভ শক্তি রয়েছে, যারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্বল করে দিতে চাইছে। একই কারণে পোশাক শিল্পের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।
আবেদনকারীদের তরফে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি রাখা হয়েছে, 'এই সমস্ত লোককে অবশ্য চিহ্নিত করতে হবে। তাদের সকলকে আইনি ব্যবস্থাপনার অধীনে এনে সুবিচার করতে হবে। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বদাই কঠোরতম শাস্তির বিধান দিতে হবে।'