ফের বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্য়ে সরাসরি বাণিজ্য শুরু। সেই ১৯৭১ সালের পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ-পাক বাণিজ্য। অবশেষে দরজা খুলল ইউনুস সরকার। এবার একেবারে সরকারি পর্যায়ে বাণিজ্য। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চাল নিয়ে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে পাকিস্তানি জাহাজ।
এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডে এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে রওনা দিয়েছে বাণিজ্যতরী। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ ৫০,০০০ টন পাকিস্তানি চাল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তানের মারফত এই চাল কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড়। তারপর বাংলাদেশের উপকূলে ভিড়বে পাকিস্তানের বাণিজ্য জাহাজ। রওনা দিয়েছে কার্গো জাহাজ।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, এবারই প্রথম পাকিস্তান ন্যাশানাল সিপিং কর্পোরেশনের ভেসেল সরকারি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বন্দরে নোঙর ফেলবে। জলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটা নতুন মাইলফলক তৈরি হবে।
সেই ১৯৭১ সাল। আর তারপর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। সেই ৭১ সালে পাকিস্তান থেকে ভাগ হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান। এরপর আর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য হয়নি। বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সেভাবে ছিল না। যে পাকিস্তান ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য আকূল অবস্থা তৈরি হয়েছিল একটা সময় সেই পাকিস্তানের সঙ্গে ফের বাণিজ্য শুরু করল বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এনিয়ে বোঝাপড়া হয়েছিল বলে খবর। এমনকী নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশের বর্তমান শাসকরা বার বারই পাকিস্তানের প্রতি নানা নরম মনোভাব পোষন করতে শুরু করেন বলে খবর। এরপর পাকিস্তান থেকে ৫০,০০০ টন চাল আমদানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুটি পর্যায়ে এই আমদানি করা হবে বলে খবর। মার্চের প্রথম দিকে বাকি ২৫,০০০ টন চাল ফের আসবে বলে খবর।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে পাক- বাংলাদেশ বাণিজ্যের দরজা কার্যত বন্ধ ছিল। ফের খুলল এই দরজা। এদিকে প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্য়ে পারস্পরিক সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনকী একাধিকবার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে কথাবার্তাও চলছিল। এবার একেবারে সরাসরি বাণিজ্য।
এদিকে মাস খানেক আগে প্রথমবার একটা জাহাজ পাকিস্তানি পণ্য নিয়ে আসার পরে ইউনুস সরকার নির্দেশ জারি করেছিল ওই দেশ থেকে আসা পণ্য আর যাচাই করার দরকার নেই।