হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই খুশির ইদ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই প্রথম ইদ-উল-ফিতর পালিত হতে চলেছে বাংলাদেশে। এই উপলক্ষে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় ঘোষণা করল প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সরকার। ইদ উপলক্ষে এবার লম্বা ছুটি পেতে চলেছেন সরকারি কর্মী ও আধিকারিকরা। বাংলাদেশ সরকার এবার ইদে টানা পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে, এখানেই শেষ নয়, এই পাঁচদিনের আগে ও পরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় বেশ লম্বা ছুটি পেতে চলেছেন কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে ইদের আগে ও পরে ১১ দিনের মধ্যে এবার ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: কেন বছরে দু' বার পালন করা হয় ইদ? কী পার্থক্য ইদ-উল-ফিতর ও ইদ আল-আদাহ- এর মধ্যে?
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এই ১১ দিনের মধ্যে ইদের টানা ছুটি ছাড়াও রয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর এবং সাপ্তাহিক ছুটি। এই ১১ দিনের মধ্যে মাত্র দুদিন অফিস খোলা থাকবে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ ইদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা চাঁদ দেখার ওপরেই নির্ভর করছে। তবে এই ৩১ মার্চ সম্ভাব্য ইদ হিসেবে ধরেই পাঁচ দিনের ছুটি দিন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রক। ঘোষণা অনুযায়ী, ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ইদের ছুটি থাকছে। তবে তার আগে অর্থাৎ ২৮ মার্চ শুক্রবার থাকায় সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। আবার এই দিনেই রয়েছে শবে কদর। তার আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি রয়েছে।
এরপরের দিন ২৭ মার্চ অবশ্য কোনও ছুটির দিন না থাকায় অফিস খোলা থাকবে। অন্যদিকে, ইদের ছুটি শেষে ৩ এপ্রিল অফিস খুলবে। তারপরেই আবার রয়েছে ছুটি। ৪ এবং ৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি পড়ছে। ফলে ওই দুদিন অফিস বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে দেখতে গেলে ২৬ তারিখ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে ৯ দিন ছুটি থাকছে সরাসরি অফিস। আর ২৭ মার্চ এবং ৩ এপ্রিল অফিস খোলা থাকছে। স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের মরশুমে এই লম্বা ছুটি দেশের সরকারি কর্মচারীদের কাছে ইদের বড় উপহার। এই লম্বা ছুটি উপভোগ করতে চলেছেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা।