ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুঙ্গে সংঘাতের পর শনিবার যখন দুই দেশ সংঘর্ষ বিরতির পথে একমত হয়, ঠিক সেই দিনেই সন্ধ্যা গড়াতে বড় খবর আসে বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগের কার্যকলাপকে আপাতত শেখ হাসিনাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। তবে তাতে কি হাসনাত আবদুল্লাদের দল এনসিপি খুশি? কতটা ভিজল হাসনাত আবদুল্লাদের মন? জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাত ৩ টের পর সংবাদ ব্রিফিং এ আসেন হাসনাত। কী বললেন? তার আগে দেখা যাক, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার।
হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগ কতদিন নিষিদ্ধ বাংলাদেশে?
শনিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামি লিগের অভিযুক্ত নেতা ও সদস্যদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আপাতত নিষিদ্ধ আওয়ামি লিগের কার্যকলাপ। এর আগে, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাংলাদেশের রাজনীতি ছিল উত্তাল। শুক্রবার থেকে শাহবাগে শুরু হয় কর্মসূচি। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে তৈরি দল এনসিপি এই ইস্যুতে তুঙ্গে চড়ায় সুর। সেই দলের সদস্য হাসনাত আবদুল্লা বহুদিন আগে থেকেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নিশানা করে তিনি সুর চড়িয়েছেন। এদিকে, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তাল হতেই, তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তারপরই শনিবার রাতের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আওয়ামী লীগের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হওয়ার কথা জানান। আসিফ বলেন,' শনিবারের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে।' জানা যাচ্ছে, সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দিতে পারবে কোনও রাজনৈতিক দল বা তার সমর্থক গোষ্ঠীকে। এদিকে এই ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ করার পরই হাসনাত আবদুল্লার তরফে বক্তব্য আসে গভীর রাতের পর।
হাসনাতের বক্তব্য:-
এদিকে,বাংলাদেশে রাত ৩ টের পর প্রেস ব্রিফিংএ আসেন বাংলাদেশের এনসিপির হাসনাত আবদুল্লা। তিনি বলেন,'সরকার আজকে যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আওয়ামি লিগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসাথে এতদিন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামি লিগের বিচারের কোনও বিধান ছিল না, কিন্তু আজকেই দল হিসেবে আওয়ামি লিগের বিচারের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।' তবে বাংলাদেশের সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাঁর সাফ কথা,' এতটুকু যথেষ্ট না, কারণ জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। জুলাইযোদ্ধারা আওয়ামি লিগ দ্বারা হামলার স্বীকার হচ্ছেন। এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান এবং পদক্ষেপ জানতে চাই।'