বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
কংগ্রেস থেকে গত বছরই বরখাস্ত করা হয়েছিল অঙ্কিতা দত্তকে। তিনি ছিলেন অসম কংগ্রেসের যুব সভাপতি। ভারতের যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাসের বিরুদ্ধে মামলা করার জেরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেই অঙ্কিতা এবার যোগ দেবেন বিজেপিতে। প্রায় ১০০ সমর্থক নিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। তিনি শ্রীনিবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে তাকে মানসিকভাবে নানা সমস্যার মধ্য়ে ফেলছেন শ্রীনিবাস। এনিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
তিনি গত বছরে অসম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর শ্রীনিবাসকে সমন পাঠায় অসম পুলিশ। তবে ২০২৪ সালের সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। তিনি গ্রেফতারি থেকে রেহাই পান।
এদিকে সম্প্রতি ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় অসমে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু কংগ্রেস অঙ্কিতাকে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। পরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, হিমন্ত বিশ্বশর্মার উসকানিতে অঙ্কিতা এসব কাণ্ড করছেন।
জয়রাম রমেশ বলেন, তিনি একজন দক্ষ নেত্রী। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে খুব আবেগপ্রবণ। ব্যাপারটা দলের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা যেত। কিন্তু হিমন্ত মাঝপথে ঢুকে গিয়ে এটাকে আইনগত ব্যাপার করে ফেললেন।
অঙ্কিতা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আমি রবিবার গুয়াহাটিতে ১০০জন সমর্থক নিয়ে যোগ দেব। রাহুল গান্ধী শুধু আমায় নন, তৃণমূলস্তরের কর্মীদেরও অপমান করেছেন।
প্রাক্তন অসম কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্তের কন্যা হলেন অঙ্কিতা। অঞ্জন দত্ত পেশায় চিকিৎসক। অঙ্কিতা জানিয়েছেন, ১০ মাস অপেক্ষা করলাম। ভেবেছিলাম নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করবেন। কিন্তু তাঁরা কিছুই করলেন না।
তিনি জানিয়েছেন, আমি কোথাও যোগ দিইনি। ভেবেছিলাম রাহুল গান্ধী অন্তত কিছু করবেন। কিন্তু তিনিও দেখা করতে চাইলেন না। তারপরই মন ভেঙে যায়।
তিনি জানিয়েছেন, আমি যখন ভুগছিলাম, গোটা কংগ্রেস দল একেবারে নীরব ছিল। কিন্তু সেই সময় হিমন্ত আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্য দলে ছিলাম আমি। তবুও তিনি আমার পাশে দাঁড়ান শুধু আমি একজন নারী বলে।
অসম কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন কুমার বোরাহ জানিয়েছেন, অঙ্কিতা আমাদের দলের কেউ নন। তিনি বিজেপিতে বা অন্য কোথাও গেলেন কি না সেটা নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।