অত্য়ন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী থাকল ওড়িশা। ফের সামনে এল এমন ঘটনা যা সকলের চোখে জল এনে দেবে। শনিবার ৮০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা প্রায় ২ কিমি হামাগুড়ি দিয়ে এসে পঞ্চায়েত অফিসে বার্ধক্য ভাতা তুলতে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর কিছু করার ছিল না তাঁর। ওড়িশার কেওনঝাড়ের তেলকই ব্লকের ঘটনা। এদিকে সরকারি নির্দেশ রয়েছে যে সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এই ধরনের পেনশন তুলতে আসতে পারবেন না তাঁদের বাড়িতে সেই পেনশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনিই কষ্ট করে পেনশন তুলতে গেলেন।
ওই বৃদ্ধার নাম পাথুরি দেহুরি। তিনি হাঁটতে পারেন না। পায়ের সমস্যা। কিন্তু তাঁর বার্ধক্যভাতা দরকার। অসুস্থতার জন্য তিনি ঘর থেকেও বের হতে পারেন না। কাজ করতে পারেন না। ওই সরকারি ভাতায় তাঁর দিন চলে। কার্যত বাধ্য হয়েই তিনি এসেছিলেন পঞ্চায়েত অফিসে।
তিনি বলেন, এই পেনশনের টাকাতেই আমার দিন চলে। পঞ্চায়েতের আধিকারিক আমায় বলেছিলেন পেনশনের টাকা অফিসে এসে নিয়ে যেতে হবে। কেউ আমার বাড়িতে এসে পেনশন দিতে আসেননি। সেকারণে বাধ্য হয়েই আমি হামাগুড়ি দিয়ে ২ কিমি পথ পেরিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলাম।
পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে যাতে বাড়িতে গিয়েই রেশন ও ভাতার টাকা দেওয়া হয় সেটা বলা হয়েছে। বিডিও গীতা মুর্মু জানিয়েছেন, পিইওদের বলা হয়েছে যারা জিপি অফিসে আসতে পারবেন না তাঁদের ভাতার টাকা যেন বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসা হয়।