বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ঝাড়খণ্ডে সেতু ওড়াল মাওবাদী জঙ্গিরা। শনিবার সকালে গুমলা জেলার বিষ্ণুপুরের এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই, প্রভাব পড়েনি ভোটদানেও, জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার শশী রঞ্জন।বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় রাজ্যের ৬টি জেলার ১৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে এ দিন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনয় কুমার চৌবে আগেই জানিয়েছিলেন, ভোট ঘিরে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের সাহায্যেও নজরদারি ও নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও দিনের শুরুতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ দিন ভোটগ্রহণ চলেছে চাতরা, গুমলা, বিষ্ণুপুর, লোহারডাগা, মানিকা, লাতেহার, পানকি, ডালটনগঞ্জ, বিশ্রামপুর, ছাতারপুর, হুসেনবাদ, গড়ওয়া ও ভবনাথপুর কেন্দ্রের জন্য। ১৫ জন মহিলা প্রার্থী-সহ মোট ১৮৯ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধিদের বেছে নেবেন ৩৭ লাখ ভোটার। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী এবং পিসিসি সভাপতি প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রামেশ্বর ওরাঁও।এ দিন সকাল থেকেই ভোটবুথে হাজির হতে শুরু করেন ভোটাররা। ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১১.২%। দিনের শুরুতে ইভিএম বিকল হওয়ার কারণে লাতেহার কেন্দ্রে কিছু ক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৩.২৫%। পালামুতে ভোটগ্রহণের হার ১০% এবং চাতার কেন্দ্রে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১১.৫৬%।