খুনের অপরাধ করার সময় বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস। কিন্তু সেই বিষয়টা আদালতে ঠিক করে তুলে ধরেননি আইনজীবী। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা চ্যালেঞ্জ করে গিয়েও লাভ হয়নি। অর্থাত্ অপরাধের সময় যে তিনি নাবালক ছিলেন তা আদালতকে জানাননি।
ফলস্বরূপ, গত ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দী ছিলেন ওই ব্যক্তি।
তখনই প্রমাণ করতে পারলে কী হত?
নাবালক হিসাবে গণ্য করলে শাস্তির পরিমাণ অনেক কম হত। সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হত তার।
২০০৯ সালে, সর্বোচ্চ আদালত তার আপিল খারিজ করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পায় সে। এর বারো বছর পরে, ২০২১ সালে, দোষী প্রথমবার তার নাবালকের ইস্যুটি উত্থাপন করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দায়ের করা হয়।
আইনজীবী আরিফ আলি এবং মোহাম্মদ ইরশাদ হানিফ দেখেন, অপরাধী সেই সময়ে কিশোর ছিল। সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে আবেদন দাখিল করা হয়।
আইনজীবীরা আদালতে জানান, দোষীর জন্ম তারিখ ১৬ মে ১৯৮৬। ৮ জানুয়ারি ২০০৪ এই অপরাধের সময় বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। SC দাবির তদন্ত করার জন্য ইউপির জেলা মহারাজগঞ্জের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডকে নির্দেশ দেয়৷
জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড মার্চে জানায়, তার সঠিক জন্ম তারিখটি সঠিক। অপরাধের সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস ২৩ দিন।
বোর্ডের তথ্য গ্রহণ করে, বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং অভয় এস ওকার একটি বেঞ্চ তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালত জানায়, শুধুমাত্র জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডেরই এখতিয়ার আছে একজন নাবালকের বিষয়ে বিচার করার। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পরেও অভিযুক্ত যেকোনও আদালতে নিজেকে নাবালক বলে দাবি করতে পারেন।