অতীতে কোভিড ঢেউয়ের সময় দেশে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা গিয়েছিল। অনেক জায়গায় অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এই আবহে এবার আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে তৎপর কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে পাঠানো এক নয়া নির্দেশিকায় সরকারের তরফে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এর আগে দেশ তিনটি করোনা ঢেউয়ের সাক্ষী থেকেছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ঢেউয়ের সময়ই অক্সিজেনের স্বল্পতার অভিযোগ উঠেছিল। পরিস্থিতি এমনই হয়ে গিয়েছিল যে বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন পাঠাতে নির্দেশ দিতে হয়েছিল শীর্ষ আদালতকে। এরপরই বিভিন্ন রাজ্যে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছিল। চিন সহ বিভিন্ন দেশে করোনার ভয়াবহতার দিকে নজর দিয়ে তাই রাজ্যগুলিকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্র।এর আগে বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা বৈঠকে করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সেই বৈঠকেই মোদী বলেন, কোভিড অতিমারি শেষ হয়ে যায়নি। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তা এবং আধিকারিকদের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। সেই বৈঠকে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশিকা জারি করা না হলেও দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষা এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়ে দেন, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং হংকং থেকে আগত আন্তর্জতিক বিমান যাত্রীদের আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক হবে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, 'অতিমারি যাতে ফের একবার ছড়িয়ে না পড়ে, এর জন্য আমরা সতর্ক। আমরা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছি। চিনের করোনা পরিস্থিতির ওপর নাজর রাখছি আমরা। সেই পরিস্থিতির কথা ভেবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসা সকল উড়ানের যাত্রীদের আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।' কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। এয়ার সুবিধা পোর্টাল ফের চালু করা হবে। ভারতে আসার পর যদি কোনও রোগী অসুস্থ বোধ করেন, কারও জ্বর আসে বা ঠান্ডা লেগে থাকে বা করোনা টেস্টের ফল পজিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবিলম্বে সেই রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাব। দেশকে কোভিড অতিমারি থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছি আমরা।'