অবশেষে জেল থেকে ছাড়া পেলেন বাংলাদেশের নুসরত। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩ টে নাগাদ (বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী) সময় জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হন ফারিয়া।
বাংলাদেশের কামিশপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার এই তথ্য বংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এদিন বেলা ১২টা ১৫ নাগাদ জেলে নুসরত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র এসে পৌঁছোয়। সেই কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সাড়ে ৩টার দিকে নুসরতকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনটা চল্লিশ মিনিটের নাগাদ অভিনেত্রী কামিশপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে যান।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি খুনের মামলায় নুসরত ফারিয়াকে গ্রেফতার ও জেলে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে ইউনুস সরকার। এরপর মঙ্গলবার সকালেই ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করে ঢাকার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে এবিষয়ে অভিনেত্রীর আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা নুসরত ফারিয়ার জামিন চেয়ে স্পেশাল পুটআপ জমা দিয়েছিলাম। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, এর আগে আদালতের এজলাসে অভিনেত্রীর গ্রেফতারির বিরোধিতা করেছিলেন ফারিয়ার আইনজীবী। তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল একজন সুপরিচিত অভিনেত্রী। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। শুধু তাই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নুসরত সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের পক্ষেও লেখালেখি করেছিলেন। জানানো হয়, যে মামলায় নুসরতকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই ঘটনার সময় নুসরত নিজের দেশে ছিলেন না, ছিলেন কানাডায়।
গত রবিবার থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরত ফারিয়াকে আটক করে। পরে তাঁকে ভাটারা থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়।