এর আগের লোকসভাগুলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলিকে একচেটিয়া নিজেদের হাতে রেখেছিল বিজেপি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে এবার প্রকৃত অর্থে গঠিত হয়েছে জোট সরকার। তবে বিস্তর টালবাহানার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা হয় নতুন লোকসভার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পূর্ণ তালিকা। তাতে এবার বিরোধীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বজবজে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন অভিষেক
ডায়মন্ড হারবারের তিনবারের সাংসদ অভিষেককে এবার রাখা বিদেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। যদিও এই কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে কংগ্রেস সংসদ শশী থারুরকে। তবে কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক ছাড়াও তৃণমূলের আরও কয়েকজন সাংসদ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে রয়েছেন। এরমধ্যে ডেরেক ও’ব্রায়েন জায়গা পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে। এদিকে, এবার সংসদের দুটি স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে। এরমধ্যে একটি কমিটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে কীর্তি আজাদকে এবং অন্যটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে দোলা সেনকে।
এদিকে, গত বছর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ক্যাশ ফর কোয়ারির অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবার নিশিকান্তকে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেই কমিটিতেই রাখা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে, যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তিনি এই কমিটিতে ছিলেন। তবে এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপি সাংসদ রাধামোহন সিংকে।
কংগ্রেসকে মোট চারটি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। যার মধ্যে শশী থারুর ছাড়াও রয়েছেন দিগ্বিজয় সিং, চরণজিৎ চান্নি এবং সপ্তগিরি শঙ্কর উলাকা। তাঁদের যথাক্রমে শিক্ষা, মহিলা, শিশু, যুব এবং খেলাধুলা, চরণজিৎ চান্নিকে কৃষি, পশুপালন বিষয়ক কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং এবং গ্রামীণ ও পঞ্চায়েতি রাজ সংক্রান্ত কমিটিগুলির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সপ্তগিরিকে।