
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
গত সপ্তাহে ওড়িশার স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। তার ফলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বর জেলায়। প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়ার পাশপাশি উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তারফলে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল কয়েক লক্ষ পরিবার। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এই জেলাগুলিতে এখনও বিদ্যুৎহীন রয়েছে ৫০ হাজার পরিবার। সেগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।
আরও পড়ুন: ‘দানা’র পর ত্রাণ শিবিরে যেতেই BJP বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবকিছু পুনরুদ্ধারের কাজ এখনও চলছে। তা এখন শেষ পর্যায়ে। রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে। বহু রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে ৯৮ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ২২.৮৪ লক্ষ বাড়ির মধ্যে ২২.৩৮ লক্ষ বাড়িতে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বর জেলায় এখনও প্রায় ৫০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সেগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য প্রায় ৭ হাজার কর্মী কাজ করছে। তারা কঠোর পরিশ্রম করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৮ লাখের বেশি মানুষকে ৬ হাজার ২১০টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তাদের বেশিরভাগই বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত ৪৭০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ রয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কোন জেলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, জাজপুর এবং ময়ূরভঞ্জের ১২টি ব্লকের ৪,১০০টি গ্রামে ২.২১ লক্ষ একরের বেশি জমির ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পরে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে নদী বাঁধ ভেঙে বন্যার কোনও সম্ভাবনা নেই ওড়িশায়। বৃষ্টির ফলে বুধবালাঙ্গা নদীতে জল বাড়লেও এখন তা কমতে শুরু করেছে। ফলে বন্যার কোনও আশঙ্কা নেই। মাঝি জানান, আজ সোমবার ময়ূরভঞ্জ, বালাসোর এবং ভদ্রক জেলার বৃষ্টি-বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলির আরও একটি সমীক্ষা করা হবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports