উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বৃহস্পতিবার বাহরাইচ হিংসা মামলায় দুই অভিযুক্তকে গুলি করেছে। কার্যত এনকাউন্টার করা হয় তাদের। আহতদের নাম সরফরাজ ও তালিব নেপালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
'প্রথম দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের দল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে গেলে সেখানে রাখা অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাল্টা গুলিতে দু'জনেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে যে অভিযুক্তরা গুরুতর আহত এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
এদিন পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। বাহরাইচের পুলিশ সুপার বৃন্দা শুক্লা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে একজন সরফরাজ, অন্যজন তালিব।
গত ১৩ অক্টোবর বাহরাইচোনে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় রামগোপাল মিশ্র (২২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বাহরাইচের চিফ মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও) ডাঃ সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের সময় মিশ্রর দেহের ভিতর থেকে ২৫ থেকে ৩০টি ছররা গুলি পাওয়া গিয়েছে।
ডাঃ কুমার বলেন, রিপোর্টে দেখা গেছে যে বাম চোখের চারপাশে এবং পায়ের নখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মিশ্রের মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা পৃথক ১১টি মামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুনের ঘটনায় নাম থাকা ছয় অভিযুক্তের মধ্যে দানিশ ওরফে শাহির খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে হারদি থানায় এই বিষয়ে প্রথম মামলাটি ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
মোট ১১টি মামলার মধ্যে দুটি করে মামলা যথাক্রমে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর এবং ৭ টি মামলা ১৫ অক্টোবর নথিভুক্ত হয়।
তিন দিন ধরে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তারা এখন আবার শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, প্রধান অভিযুক্ত সরফরাজ খান ওরফে রিঙ্কু ও দ্বিতীয় অভিযুক্ত মহম্মদ তালিবকে গুলি করা হয়। তাদের পায়ে গুলি লেগেছে। একটি ভিডিয়ো সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সরফরাজ একটি বন্দুক উঁচিয়ে রয়েছে। হান্দা বাসেহারি ক্যানালের কাছে এই ঘটনা হয়। ইন্দোনেপাল সীমান্তের কাছেই এই ঘটনা।
খবর এএনআই, পিটিআই