কাম্য়া কার্তিকেয়ান। মুম্বইয়ের নেভি চিল্ডরেন স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীর বয়স মাত্র ১৭ বছর। আর এই কিশোর বয়সেই বিশ্ব ম়ঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করল সে। বিশ্বের কনিষ্ঠতম মহিলা পর্বতারোহী হিসাবে পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করে ফেলল এই কিশোরী।
এখনও পর্যন্ত যে শৃঙ্গগুলি কাম্য়া জয় করেছে, সেই তালিকায় রয়েছে, আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস, অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট কোসকিয়াজকো, দক্ষিণ আমেরিকার মাউন্ট অ্যাকোনকাগুয়া, উত্তর আমেরিকার মাউন্ট দেনালি এবং এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট।
কাম্যার সফল শৃঙ্গ জয়ের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল অ্য়ান্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্টার্কটিকা। সদ্য সেই অভিযান সম্পূর্ণ করেছে সে।
চিলিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুসারে, গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা বেজে ২০ মিনিটে অ্য়ান্টার্কটিকার এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে কাম্যা। তবে, এই অভিযানে সে একা ছিল না। কাম্য়ার সঙ্গেই শৃঙ্গ জয় করেন তার বাবা সিডিআর এস কার্তিকেয়ান।
ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে কাম্যার এই সাফল্যের খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তাদের তরফ থেকে কাম্যাকে এবং তার বাবাকেও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। কাম্য়া যেভাবে নয়া নজির স্থাপন করেছে, তার সেই সাফল্যে পৌঁছনোর জেদ ও একাগ্রতাকেও কুর্নিশ জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা।
ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে কাম্যাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে কাম্য়ার সফরের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেই সমস্ত ছবির মাধ্যমে কাম্যার সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের মুহূর্তগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
নৌবাহিনীর তরফে লেখা হয়েছে, 'মুম্বই নেভি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী কাম্য়া কার্তিকেয়ান নয়া ইতিহাস রচনা করেছে। বিশ্বের কনিষ্ঠতম মহিলা অভিযাত্রী হিসাবে সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছে সে।'
এরপরই কাম্য়াকে তার এই অভূতপূর্ব সাফল্য়ের জন্য নৌসেনার পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, 'ভারতীয় নৌসেনা কাম্যা কার্তিকেয়ান এবং তার বাবাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, এমন এক অসাধারণ মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলার জন্য।'
ছাত্রীর এমন কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত কাম্য়ার স্কুল কর্তৃপক্ষও। মুম্বইয়ের নেভি চিল্ডরেন স্কুলের তরফেও তাই ১৭ বছরের এই অভিযাত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
তাদের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 'সমস্ত বাধা পেরিয়ে নতুন উচ্চতা স্পর্শ! মুম্বইয়ের নেভি চিল্ডরেন স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী কাম্য়া কার্তিকেয়ান বিশ্বের সেই কনিষ্ঠতম মহিলা অভিযাত্রী হতে পেরেছে, যে সাতটি মহাদেশেরই সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে ফেলেছে! এই মুহূর্তটা এনসিএস মুম্বইয়ের কাছে অত্যন্ত গর্বের!'
প্রসঙ্গত, কাম্য়া যখন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কাম্য়া জানিয়েছে, তার যখন মাত্র ৭ বছর বয়স, তখন সে প্রথমবার ট্রেকিং করেছিল!