এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে এমন নানা ঘটনা আজও ঘটে চলেছে যার কোনও ব্যাখা খুঁজে পাওয়া যায় না। তেমনি ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়াতে। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার করোয়াই মানুষদের একটা বিশেষ রীতির কথা জানলে চমকে যাবেন।
গল্পের মতো শোনালেও এটা সত্যি যে এই সম্প্রদায়ের মানুষ আজও বিশ্বাস করেন যাদের ভূতে ধরে তাদেরকে মেরে খেয়ে ফেলতে হয়। ভাবা যায় মানুষখেকো মানুষ এখনও আছে পৃথিবীতে!
এই আদিবাসীরা বিশ্বাস করেন, অশুভ শক্তি খাকুয়া আমাদের সঙ্গে বাস করে। আর যখনও কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখনই মনে করা হয় সেটা দুষ্ট আত্মার মাধ্যমে হয়েছে। আর তাদের বিশ্বাস এই অস্বাভাবিক মৃত্যু রোধ করার একটাই উপায় সেটা হল এই দুষ্ট আত্মা যার মধ্য়ে বাস করছে তাকে মেরে ফেলা।
ভয়াবহ প্রথা। কু প্রথা। আর সেই প্রথাই কার্যত বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। তবে ভূতে ধরা ওই মানুষটাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মানে একেবারে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নৃশংসভাবে তার মাথা কেটে ফেলা হয় । এরপর একেবারে ফিস্ট করে খাওয়া হয় তার দেহ। ভয়াবহ কাণ্ড। তবে এটা যে ক্ষুধা নিবারণের জন্য় খাওয়া হয়। সেটা নয়। এটা একটা প্রতীকী ব্যাপার। তারই অঙ্গ হিসাবে এভাবে মেরে ফেলে মানব দেহ ভক্ষণ করা হয়।
আসলে তাদের মধ্য়ে বিশ্বাস যে এইভাবে তাদের দেহ ভক্ষণ করে আদপে দুষ্ট আত্মাকেই তারা খেয়ে ফেলছে। এর ফলে আর সেই আত্মা অন্য কারোর ক্ষতি করতে পারবে না। অত্য়ন্ত ক্ষতিকারক এই প্রথা। তবে ওই জনজাতির লোকজন বিশ্বাস করেন, এভাবে ওই মানুষটাকে মেরে ফেলে তারা কোনও শাস্তি দিলেন না। আসলে তাকে মুক্তি দিলেন তারা। এর মাধ্যমে ওই আত্মার হাত থেকে মুক্তি দিলেন তারা।
তবে সভ্য সমাজের কাছে এই প্রথা অত্যন্ত ভয়াবহ। এই প্রথার পেছনে কোথাও কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই। অনেকের মতে, এই ধরনের প্রথা যত দূরীভূত হবে ততই মঙ্গল।