World Pi Day 2023: প্রতি বছর ১৪ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব পাই দিবস। কিন্তু ১৪ মার্চই কেন পালন করা হয় ‘পাই’ দিবস? আসল কারণটা জানলে বেশ অবাক হবেন।
১৪ মার্চই কেন বিশ্ব ‘পাই’ দিবস
প্রতি বছর ১৪ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব ‘পাই’ দিবস। কিছু পাওয়ার দিন বুঝি আজ? নাকি কিছু পাওয়া গিয়েছিল আজকের তারিখে? দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটি হল হ্যাঁ। আজকের দিনটি আসলে পালন করা হয় ‘পাই’কে উপলক্ষে করে। অঙ্কের একটি বিশেষ চিহ্ন হল ‘পাই’। সেটিকে কেন্দ্র করেই পালন করা হয় এই বিশেষ দিন।
‘পাই’ এর অর্থ কী?
বৃত্তের একটি বিশেষ অনুপাতকে বলে ‘পাই’। বৃত্তের পরিধিকে বৃত্তের ব্যাস দিয়ে ভাগ করে দেখুন। সবসময় একটি ধ্রুবক সংখ্যা আসবে। ইয়া বড় বৃত্তের পরিধিকে ব্যাস দিয়ে ভাগ করলে যা হবে, একদম খুদে আকৃতির বৃত্তেরও তাই হবে। এই বিশেষ ধ্রুবকটির মান ৩.১৪এর কাছাকছি। সুবিধার জন্য ৩.১৪ই বলা হয়। একেই বলা হয় ‘পাই’।
গণিতপ্রেমীদের জন্য এই দিনটি একটি বিশেষ দিন হিসেবে পালিত হয়। রোজকার জীবনে নানা কাজেই অঙ্কের হিসেব করতে হয়। বিশেষ করে টাকাপয়সা হিসেবের সময়, কোথাও গেলে বা কোনও কাজ করতে করতে সময়ের হিসেব করতেও লাগে অঙ্ক। তাই অঙ্কের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতেই এই বিশেষ ১৪ মার্চ।
১৪ মার্চই কেন পালন করা হয় ‘পাই’ দিবস?
‘পাই’য়ের মান হল ৩.১৪। দশমিকের বদলে সংখ্যাটির দিকে একটু ভালো করে নজর করুন। দেখা যাবে, এটি যেন কোনও তারিখ। মাসের পর তারিখটি লেখা। অনেক সময় দিনের পর মাস না লিখে উল্টোটাও করা হয়। তাই ১৪ মার্চ অর্থাৎ বছরের তৃতীয় মাসের ১৪ তারিখ পালন করা হয় ‘পাই’ দিবস।
প্রথম ‘পাই’ ডে পালন করা শুরু হয় ১৯৮৮ সাল থেকে। এই বছর পদার্থবিদ ল্যারি শ একটি বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে একটি ‘পাই’ আকৃতির কেক কাটা হয়। পাশাপাশি ‘পাই’য়ের মান দশমিকের পর যত অঙ্ক পর্যন্ত বলা যায় (যেহেতু এই ক্ষেত্রে দশমিকের পর যতই ভাগ করা হোক, ভাগ শেষ হয় না), তত পর্যন্ত বলারও একটি প্রচেষ্টা চলে। প্রথম এই সংখ্যাটি আবিষ্কার করেন আর্কিমিডিস। পরে অয়লার ১৭৩৭ সালে সংখ্যাটি ব্যবহার করেন। সেই থেকেই শুরু ‘পাই’য়ের জয়যাত্রা।