পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > বয়স আপনার ৪০! করিনা কাপুরের মতো গ্ল্যামার ধরে রাখবেন কী খেয়ে
আজকের ব্যস্ত জীবনে নারীদের নিজেদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য সময় কম থাকে, যার কারণে সময়ের আগে অনেকেই নিজ নিজ প্রকৃত বয়সের চেয়ে বয়স্ক দেখাতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি করিনা কাপুরের মতো তরুণ এবং উজ্জ্বল দেখাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা দ্রুত কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪০ বছরের বেশি বয়সে কোলাজেনের ঘাটতি এবং এর প্রভাব
নারীদের বয়স ৪০ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন ধীরে ধীরে হ্রাস পায়, যার ফলে ত্বক আলগা হয়ে যাওয়া, বলিরেখা পড়া এবং জয়েন্টে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে, যদি আপনি করিনা কাপুরের মতো উজ্জ্বল ত্বক চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা কোলাজেন বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।
কোলাজেন বাড়ানোর জন্য খাবার
- সয়া পণ্য: সয়া পণ্য, যেমন টোফু এবং সয়া দুধ, ফাইটোয়েস্ট্রোজেন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ৪০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে, যার কারণে ত্বক আলগা হতে শুরু করে। এমন সময় সয়া খাওয়া ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা কমায়।
- আখরোট এবং বাদাম: আখরোট এবং বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলাজেন ভাঙতে বাধা দেয়। এগুলো খেলে ত্বক মেরামত হয় এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। প্রতিদিন ভেজানো বাদাম এবং আখরোট খেলে ত্বক টানটান এবং নরম থাকে, যা প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেয়।
- তিল এবং তিসির বীজ: তিল এবং তিসির বীজে লিগনান, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ত্বককে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। এই বীজগুলিতে জিঙ্কও পাওয়া যায়, যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। এই বীজগুলি সালাদ, স্মুদি বা হালকা ভাজা অবস্থায় খেলে ত্বক তরুণ দেখায় এবং দেরিতে বলিরেখা দেখা দেয়।
- পেঁপে এবং গাজর: পেঁপে এবং গাজরে ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলো ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং টিস্যু মেরামতকে ত্বরান্বিত করে। প্রতিদিন এগুলো খেলে ত্বক সুস্থ থাকে, দাগ কমে যায় এবং ত্বক টানটান থাকে।
- সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে ক্লোরোফিল, আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এগুলো ত্বককে মুক্ত র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের প্রভাব কমায়। প্রতিদিন পালং শাক, ব্রকলি এবং মেথির মতো সবজি খাওয়া ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।