
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
পুজো একেবারেই দোরগোড়ায়! চারিদিকে আনন্দের ফুলঝুরি জ্বলছে। পুজো পুজো গন্ধ ভেসে উঠেছে চারিদিকে। তবে পুজোর এই ক’টা দিন ভিড়ভাট্টা দূরে রেখে একেবারে অন্যভাবে ঠাকুর দেখতে চান, এমন মানুষের সংখ্যা কম নেই। সেক্ষেত্রে কলকাতা থেকে খানিক দূরে গিয়ে নিরিবিলিতেই পুজো কাটানো যেতে পারে। কাছে পিঠেই এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে শান্ত, নিরিবিলিতে ছুটি কাটানো যেতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু সেরা ঠিকানা যেখানে পুজোর চারদিন একটু শান্তিতে নিশ্বাস নেওয়া যাবে-
শহর কলকাতা থেকে খানিক দূরেই হুগলি জেলা। এই জেলার শ্রীরামপুরেই রয়েছে চাতরা দেশগুরু ভট্টাচার্যের বাড়ির পুজো। পুজোর ভিড়ভাট্টা কোলাহল থেকে অনেকটাই অন্যরকম এখানকার পুজো। প্রায় ৬০০ বছর অতিক্রম করেছে এই বাড়ির পুজো। তবে ইংরেজ আমলের বাড়িতে পুজো হয় না আর। এখন যে নতুন বাড়িতে পুজো হয় সেই পুজোর বয়স ৩০০ বছর। এই বাড়ি হল রাজা রামমোহন রায়ের মামাবাড়ি। প্রাচীন সব নিয়ম নীতি মেনেই চলে পুজোপদ্ধতি। এ বাড়ির নতুন সদস্যরাই এই পুজোর ভার নিয়েছেন। আগে মহালয়া থেকে শুরু হলেও এখন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে এই বাড়ির উৎসব। শহরের একঘেয়ে ভিড়ে ঠাসা কোলাহল থেকে একেবারে অন্যরকম ভাবে পুজোর আমেজ নেওয়া যায় এই বাড়িতে চাইলে পুজোর যেকোনও একদিন ঘুরে আসাই যায়। ফেরার পথে শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাটে একান্তে সময় কাটাতে পারেন।
আরও পড়ুন: ৭৫ দিন ধরে দশেরা চলে ভারতের এই এলাকায়! শোনা যায়, শুরু হয়েছিল দেবীর আশীর্বাদেই
এই পুজোও হুগলিতে। ঘোষাল বাড়ির পুজোর একটি বিশেষত্ব আছে। আজও ইংরেজদের থেকে অনুদান আসে এই বাড়ির পুজোতে। ৫৬৯ বছর পুরনো এই বাড়ির নিয়মও একেবারে আলাদা। প্রাচীন নিয়ম মেনে গানবাজনা ও যাত্রাপালার ব্যবস্থা রয়েছে এই পুজোতে। কোনও বাইরের মিষ্টি ব্যবহার করা হয় না এই পুজোতে। ঘোষাল বাড়ির মেয়ে বউরাই পুজোর ক’টা দিনের জন্য মিষ্টান্ন বানান যা নিবেদন করা হয় দেবীর কাছে। দশমীতে রয়েছে আরও অন্যরকম এক ব্যাপার। দশমীর দিন দেবীকে ইলিশ ভোগ নিবেদন করা হয়। শহরের ভিড়ে ঠাসা আড়ালে নির্জনে সময় কাটাতে একবার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন ঘোষাল বাড়ির উঠোন চত্বরে।
আরও পড়ুন: রোজ বিরিয়ানি খেয়েও বাড়বে না ওজন! শুধু জানুন খালি না ভরা পেটে খাবেন মেথির জল
হুগলির আরও এক বিশেষ পুজো হল ব্রহ্মদৈত্যির ঘরের পুজো। নামটা শুনলে অবাক হলেও শহরের ব্যস্ততামাখা ভিড়, আওয়াজ এসব থেকে একেবারেই ভিন্ন এই বাড়ির পুজো। হরিপালের জেজুরে ঘোষ বাড়ির পুজোরই এমন বিশেষ নাম। কিন্তু কেন এই নাম জানেন? ঘোষ বাড়ির কোনও এক পূর্বপুরুষ এই পুজোর সূচনা করেন। এই বাড়ির পুজো করতেন এক ব্রহ্মচারী। তাঁকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেন এক নামজাদা ডাকাত। তারপর থেকেই এই পুজোর নাম হয়েছে ব্রহ্মদৈত্যির ঘরের পুজো।
পুজোর ক’টা দিন একেবারে অন্য স্বাদ পেতে শহর কলকাতা থেকে কয়েক পা দূরে গেলেই মিলবে শান্তির ঠেক। ভিড়ভাট্টা, কোলাহল থেকে পালিয়ে নির্জনে ছুটি কাটাতে বেরিয়ে আসুন এই কয়েকটা জায়গায়।
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus