শুধু মিয়াও নয়, হ্যালোও বলছে বিড়াল। তাও স্পষ্ট ইংরেজি উচ্চারণ করে। হ্যালোর পাশাপাশি 'মাম্মা' ডাকতেও শোনা যাচ্ছে তাদের। সাধারণত, যাঁদের বাড়িতে বিড়াল রয়েছে বা বিড়াল পোষেন, তাঁদের বিড়ালটি যদি তার নিজের মতোই আওয়াজ করে, আপ্লুত হয়ে যান সকলেও। মালিকরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের বিড়াল তাঁদের ভাষা বোঝে। এমন পরিস্থিতিতে, বিড়ালের গলায় যদি মাম্মা বা হ্যালো শোনা যায়, তাহলে আহ্লাদের শেষ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: (Hair Care Tips: গোলমরিচেই চুল হবে কালো আর শক্তপোক্ত! কীভাবে ব্যবহার করবেন, জেনে নিন)
ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখুন এখানে
আপনার বিড়াল আপনার কথার উত্তর দিল, আপনি যদি তা আপনার বন্ধুদের বলতে যান, কেউই আপনাকে বিশ্বাস করতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে, সত্যতা প্রমাণের জন্য এই ভিডিয়োটি দেখাতে পারেন।
বিড়ালরা কি সত্যিই মানুষের ভাষা বোঝে
হয়ত অনলাইনে অনেককেই বলতে শোনা যায়, বিড়ালরা খারাপ স্বভাবের। তারা সব বুঝেও সাড়া দিতে চায় না। কেউ কেউ আবার বলেন, কুকুরের মালিক আছে, কিন্তু বিড়ালের চাকর আছে। কিন্তু যে যাই বলুক, বিড়াল যাঁরা পোষেন, তাঁদের কিন্তু একেবারেই মনে হয় না এমনটাই। এটা ঠিক যে, কুকুরকে বোঝার চেয়ে বিড়ালকে বোঝা কঠিন।
এমনকি ল্যাবেও বিড়ালদের বুঝে অসুবিধা হয় গবেষকদের। কারণ, সাধারণত এমআরআই করার জন্য একটি বিড়ালকে স্থির রাখা প্রয়োজন। আর বিড়ালরা ল্যাবে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চঞ্চল হয়ে পড়ে। তাই তাদের মাথায় কী চলে, বোঝা কঠিনই।
এ প্রসঙ্গে, ইউনিভার্সিটি প্যারিস নান্টেরের একজন বিড়াল আচরণ বিশেষজ্ঞ শার্লট ডি মৌজন গবেষণা করে দেখেছেন যে বিড়ালদের প্রতিক্রিয়া খুবই সূক্ষ্ম। খুব বেশি হলে তারা কেবল একটি কান সরাতে পারে, বা স্পিকারের দিকে মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। এর বেশি তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করে না।
আরও পড়ুন: (Amla For Weight Loss: আমলকির গুণেই ঝরে যাবে সব মেদ! কখন কীভাবে খেতে হবে সেটা জানলেই কেল্লাফতে)
বিড়ালরা কি সত্যিই কথা বলে
যদিও অনলাইনে অনেক ভিডিয়ো আছে, যেখানে বিড়াল ইংরেজি শব্দ বলেছে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির ভাষাবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ সুজান শটজ বলেন যে বিড়ালরা মূলত মানুষের কণ্ঠস্বর অনুকরণ করে। তাঁর মতে, বিড়ালরা মালিকের কণ্ঠস্বর নকল করে আরও ভাল যোগাযোগ করতে পারে, কিন্তু আসল শব্দ শিখতে পারে না।