করোনা মহামারী আসার পর থেকেই একটার পর এক রোগ মহামারীর আকার ধারণ করছে। আর এগুলো সব কটাই কম বেশি ছোঁয়াচে রোগ। মাঙ্কিপক্স থেকে নরোভাইরাস, পোলিও আর এখন টমেটো ফ্লু! বর্তমানে এই এত রোগের প্রাদূর্ভাবের কারণে শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্ব জুড়েই সকলেই আতঙ্কিত বিষয়টা নিয়ে। টমেটো ফ্লু এই রোগগুলোর অন্যতম যা মূলত ৫ বছরের বয়সের কম শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতে ইতিমধ্যেই ৮২টা কেস ধরা পড়েছে টমেটো ফ্লুর। প্রথম কেসটি ৬ মে কেরলে ধরা পড়েছিল।
টমেটো ফ্লু বিষয়টি কী?
কক্সস্যাকি ভাইরাস এ ১৬ ভাইরাস এই রোগটি ঘটায়। এই ভাইরাসটি এন্টেরোভাইরাস গ্রুপের অন্তর্গত। এই রোগটি ভারতে প্রথম ধরা পড়ে ৬ মে, কেরলের কোল্লাম জেলায়। সাধারণত ছোট শিশুদের মধ্যেই এই রোগটি ছড়াচ্ছে।
লক্ষণ কী?
এই রোগ হলে শিশুদের গায়ে লাল লাল ফোস্কা দেখা যাচ্ছে, সঙ্গে গা পায়ে অসম্ভব ব্যথা হচ্ছে সঙ্গে থাকছে জ্বর। এটা অনেকটা হাত, পা , মুখের রোগের মতোই।এই রোগটি হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে, নইলে রোগীর থেকে অন্য শিশু এমনকী বড়দেরও হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণের সঙ্গে চিকুনগুনিয়া এবং মাঙ্কিপক্সের বেশ মিল আছে। চিকুনগুনিয়ার মতো টমেটো ফ্লুতে ভীষণ গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হয় আর মাঙ্কিপক্সের মতো গায়ে ফোস্কা পড়ে। এই রোগটাকে টমেটো ফ্লু বলেই এই কারণে যেহেতু টমেটোর মতো লাল ফোস্কা পড়ে সারা গায়ে।
এছাড়াও টমেটো ফ্লু হলে পেট খারাপ, মাথা ব্যথা, বমি ভাব থাকতে পারে, সঙ্গে গাঁট ফুলে যেতে পারে।
এই রোগ কী করে ধরা পড়ে?
শিশুদের শরীরে লক্ষণগুলো দেখা দিলে মাঙ্কিপক্স, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ইত্যাদি রোগের পরীক্ষা করা হয়। এই রোগের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ধরা হয় যে টমেটো ফ্লু হয়েছে।
রোগীর কী করণীয় এই সময়?
টমেটো ফ্লু হলে অন্তত ৫ থেকে ৭ আলাদা থাকতে হবে রোগীকে এই সময়, কারণ রোগটা ছোঁয়াচে। এছাড়া বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পরিমাণে জল এবং অন্যান্য পানীয় খেতে হবে। শরীরকে এই সময় হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। ফাস্ট ফুড, ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো এই সময়। আইসলেশনে থাকাকালীন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যে শিশুটির টমেটো ফ্লু হয়েছে তার জিনিস যেন অন্য কেউ না ধরে সেই বিষয়েও নজর দিতে হবে।