Salil Chowdhury Special Calendar: এক সময় হিজ মাস্টার্স ভয়েস ছিল ভারতীয় সঙ্গীতের পীঠস্থান। গ্রামোফোনের সামনে বসে থাকা ‘নিপার’ যেমন তার মাস্টার-এর কন্ঠ শুনতো, গ্রামোফোন ডিস্কে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বেশ কিছু দশক ধরে একই ভাবে সঙ্গীত জগতের বহু মাস্টার্সদের গান শুনেছেন। সে না হয় গান শোনার কথা। কিন্তু শুনতে গেলে তো গান আগে রেকর্ড করতে হবে। সেই কাজটা ভারতের যে যে প্রান্তে হতো, তার মধ্যে অন্যতম দমদমের এইচ.এম.ভি-র রেকর্ডিং স্টুডিও। এখন যা সারেগামা ইন্ডিয়া লিমিটেড।
বাংলার হেন কোনও শিল্পী নেই যিনি এই ফ্লোরে রেকর্ডিং করেননি। সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র। চিত্রপরিচালকদের মধ্যে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিংহ সহ আরও অনেকে রয়েছেন তালিকায়। সুরকারদের মধ্যে নচিকেতা ঘোষ, সুধীন দাশগুপ্ত, সলিল চৌধুরীর কথা তো অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন - নারী দিবসের আগে স্বামী বিবেকানন্দের ১০ বাণী! আজও যা শিক্ষণীয়
অসংখ্য কালজয়ী গানের জন্ম এই রেকর্ডিং স্টুডিওতেই। এই বছর কিংবদন্তি সুরকার তথা গীতিকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ। সেই উপলক্ষে সেরাম গ্রুপ নিবেদন করলেন 'সলিল অ্যাট হান্ড্রেড' ওয়াল ক্যালেন্ডার। উদ্যোগে দ্য ড্রিমার্স মিউজিক পিআর এজেন্সির কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দ। কখনও সন্দেশ পত্রিকার প্রচ্ছদ, কখনও বা সোনার কেল্লার পঞ্চাশ বছর, কখনও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তো কখনও উত্তম কুমার, দ্যা ড্রিমার্স মিউজিক পিআর এজেন্সির ক্যালেন্ডারে সবসময়ই থাকে এক স্মৃতিমেদুরতার হাতছানি।
আরও পড়ুন - বিশ্বের প্রাচীনতম চলমান স্টিম লোকো, ছুটত হাওড়া থেকেই! কেমন আছে ‘ফেয়ারি কুইন’?
সুদীপ্ত চন্দের কথায়, ‘এই বছরের ক্যালেন্ডারে আছে সলিল চৌধুরী সুরারোপিত বেশ কিছু জনপ্রিয় পাশাপাশি ততটা জনপ্রিয় নয় এমন হিন্দি এবং বাংলা ছায়াছবির বুকলেট কভার, পোস্টার। এছাড়াও রয়েছে তৎকালীন এইম.এম.ভি-র দমদম স্টুডিওতে সলিল চৌধুরীর গান রেকর্ডিং এর বেশ কিছু মুহূর্ত। সাগর সেন, বনশ্রী সেনগুপ্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, অন্তরা চৌধুরীসহ সলিল চৌধুরীর বেশ কিছু কম বা না-দেখা ছবি। ক্যালেন্ডারে বুকলেট দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বিশ্বাস নেরুরকার, কলকাতার দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, পরমানন্দ চৌধুরী। পোস্টারের ছবি আমার সংগ্রহ থেকে ব্যবহৃত।’