‘রকেট্রি: দ্যা নাম্বি এফেক্ট’ সিনেমায় অভিনেতা আর মাধবন চরিত্রের খাতিরে নিজের ওজন বাড়িয়েছিলেন বেশ অনেকটাই। সিনেমায় অভিনেতার যে ভুঁড়ি আপনারা দেখতে পেয়েছিলেন, সেটাও ছিল একেবারে আসল। কিন্তু তারপরেই ‘শয়তান’ সিনেমায় মাধবনকে দেখে অনেকেই চমকে যান। কি করে এত তাড়াতাড়ি নিজের শরীরে বদল আনলেন তিনি? সার্জারি না কি ইনজেকশন? এই বদলে যাওয়া চেহারার পেছনে রয়েছে কি কারন?
না, কোনও সার্জারি বা ইনজেকশন নয়, এমনকি মেডিটেশন বা ওয়ার্ক আউটও নয়। একেবারে অনন্য ভাবে নিজের বাড়তি ওজন কমিয়েছিলেন অভিনেতা।দর্শকদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন অভিনেতা নিজেই। কী করে মাত্র একুশ দিনে নিজের শরীরের বাড়তি ওজন তিনি কমিয়েছিলেন, সেটাই শেয়ার করলেন সকলের সঙ্গে। বরাবরই ভীষণভাবে সুশৃংখল জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত অভিনেতা। তাই এই বাড়তি ওজন কমাতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে। তবে এই বাড়তি ওজন কমানোর পেছনে যেটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, সেটি হল Intermittent fasting
(আরও পড়ুন: লেখক অমিতাভ ঘোষের মুকুটে নতুন পালক, ইউনিভার্সিটি অফ সিয়েনা থেকে মিলল স্বীকৃতি)
Intermittent fasting কী?
Intermittent fasting কথাটির অর্থ হল সবিরাম উপবাস। এটি এমন একটি খাদ্য গ্রহণ করার চক্র, যেখানে আপনি একটানা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উপবাস করবেন। ওজন কমানোর লক্ষ্যে ক্যালরি গ্রহণ সীমাবদ্ধ করার জন্য এই পদ্ধতি অনেকেই অনুসরণ করেন।
Intermittent fasting করার পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, যে খাবারটি আপনি খাবেন সেটা কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ বার চেবাতে হবে, যাতে খাবারে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি আপনার শরীরের বাড়তি ওজন বৃদ্ধি করার কারণ না হতে পারে। রাতের খাবার ০৬:৪৫ এর মধ্যে গ্রহণ করে নিতে হবে এবং বিকেল তিনটের পর কোনও কাঁচা খাবার খাওয়া যাবে না।
(আরও পড়ুন: চাঁদিপুরা ভাইরাস আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে, এর সম্পর্কে কী কী জেনে রাখা দরকার)
তবে শুধু খাবার গ্রহণ করার পদ্ধতি বদলালেই চলবে না। আরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বদল আনতে হবে। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে ৯০ মিনিট আগে মোবাইল সরিয়ে রাখেন নিজের বিছানা থেকে। একটি লম্বা নিশ্চিন্ত ঘুম আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে। এছাড়া মর্নিং ওয়ার্ক করাও ভীষণভাবে আবশ্যক।
অভিনেতার এই কথা শুনে তাঁর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, 'আমিও লকডাউনের সময় এই বিরতিহীন উপবাস করেছিলাম।' এটাই একমাত্র আমাকে সুস্থ রেখেছিল।' অন্য একজন লিখেছেন, ‘আপনি কী কী খান, সেটাও একদিন শেয়ার করবেন আমাদের সঙ্গে।’