HMPV Virus: চিনের এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে ভারতেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের মধ্যে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও মিলেছে। কিন্তু এই ভাইরাসে এখনও ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি বলেই জানিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কথায়, এইচএমপিভি ভাইরাস আগে থেকেই বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের কাছে পরিচিত। এটি নতুন কোনও ভাইরাস নয়। তাই অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু বহু মানুষ ফুসফুসের সমস্যায় ভোগেন। এর মধ্যে সিওপিডি ও অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। শীতকালে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়। তার মধ্যেই দেখা দিয়েছে এই ভাইরাস-ত্রাস। এমন সময় সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে সিওপিডি ও অ্যাজমা রোগীদের কী করণীয়? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন শহরের বিশিষ্ট ফুসফুসরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবরাজ যশ (হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট, পালমোনোলজি, মনিপাল গ্রুপ অব হসপিটালস)।
‘ভয়ের কারণ নেই’
চিকিৎসকের কথায়, ‘এই ধরনের ভাইরাস প্রতি বছরই আমরা পেয়ে থাকি। এর জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণ নাক থেকে জল পড়া, সর্দি, কাশি দেখা যায় এই সংক্রমণে। যা দুদিন পর সেরে যায় নিজে থেকে। এইচএমপিভি ভাইরাস থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কাও বেশ কম।’
আরও পড়ুন - Jiban Mukherjee: ইতিহাসকে ধরেছিলেন কলমে, ইতিহাসেই অমর থেকে যাবেন জীবনবাবু
‘মাস্ক ও স্যানিটাইজার জরুরি কারণ…’
তাহলে কি বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে? এই প্রসঙ্গে দেবরাজবাবুর বক্তব্য, ‘আর পাঁচটা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। তাই কোভিডের সময় যেমন এই অভ্যাস ছিল, এখনও এই অভ্যাস থাকলে ভালো হয়। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। ফের বলি, কোভিডের মারাত্মক ভাইরাস হোক বা না হোক, সংক্রমণ ঠেকানোর সেরা পন্থা এটাই। তাই এই পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি।’
আরও পড়ুন - Public Toilet: অথ সুলভ শৌচালয় কথা! বাঙালির নিম্নচাপ নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন
অ্যাজমা ও সিওপিডির রোগীরা কী করবেন?
অ্যাজমা ও সিওপিডির রোগীদের এই মুহূর্তে কী করণীয়? চিকিৎসকের কথায়, ‘যেকোনও ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ হলে অ্যাজমা ও সিওপিডির সমস্যা বেড়ে যায়। এর কারণ স্প্যাজম বা ব্রঙ্কোস্প্যাজম বেড়ে যায়। তাই বাড়ির কারও সর্দিকাশি হলে তার থেকে অ্যাজমা বা সিওপিডির রোগীকে দূরে রাখাই শ্রেয়।’
টেস্ট করানো কি জরুরি?
টেস্টের ব্যাপারেও কিছুটা আশ্বস্ত করলেন চিকিৎসক। দেবরাজ জানাচ্ছেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগেই যে কথাটা বললেন, সেটা আমিও বলতে চাই। সর্দিকাশি হলেই পয়সা খরচ করে ভাইরাস প্যানেল টেস্টের দরকার নেই।শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরে এই ধরনের সংক্রমণ দু-তিনদিনেই সেরে যায়।’ পাশাপাশি চিকিৎসকের কথায়, ‘প্রতি শীতেই হাসপাতালে ফুসফুসের রোগ নিয়ে ভর্তি রোগীদের সংখ্যা বেশি থাকে। তাই দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।’