Anger problem: সামান্য কারণেই মাঝে মধ্যে রেগে যান? নিজেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 10 May 2024, 02:30 PM IST
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Anger problem: সামান্য কারণেই মাঝে মধ্যে রেগে যান? নিজেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
পরবর্তী খবর
হাসি, কান্নার মতো রাগ হলো একটি স্বাভাবিক আবেগ। মাঝেমধ্যে রাগ হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এই রাগ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তার শরীর এবং মনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত রাগ ডেকে নিয়ে আসতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় নিউইয়র্ক সিটির ২৮০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রত্যেককে ৮ মিনিটের জন্য একটি মানসিক কাজে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। যে মানসিক কাজগুলিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হয় সেগুলি হল, কোনও রাগের স্মৃতি মনে করা, একটি ঘটনা স্মরণ করা যা উদ্বেগ জনক, হতাশাজনক কোনও বাক্য স্মরণ করা এবং ১ থেকে ১০০ গণনা করার মত একটি সাধারণ কাজ।
(আরো পড়ুন: এই উপসর্গগুলি দেখলেই হয়ে যান সচেতন, হতে পারে মুখের ক্যানসার)
গবেষণা থেকে জানা গেছে, কোনও রাগের কথা যখন আপনি চিন্তা করছেন তখন ৪০ মিনিট পর্যন্ত আপনার রক্তনালীগুলির প্রসারণ ব্যাহত হচ্ছে। এই প্রসারণ রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত রক্তনালীর প্রসারণ ব্যাহত থাকা রীতিমতো উদ্বেগ জনক।
গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে, রাগ হওয়ার পর যে কোনও মুহূর্তে রক্তনালিগুলির আস্তরণের চাপ সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক তখনই হয় যখন হৃদপিণ্ড বা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাধা প্রাপ্ত হয় অথবা বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে যখন আপনি রেগে যান তখন রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে আপনার হৃদপিন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
(আরো পড়ুন:খাদ্য তালিকায় রাখুন আয়ুর্বেদিক ভেষজ, রক্ষা পাবেন হিট স্ট্রোক থেকে)
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, উদ্বেগ এবং দুঃখের অনুভূতি অনেকটা এক হলেও দুটি একরকম ভাবে রক্তনালীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে না। মহামারীর পরে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা অনেকাংশ বেড়ে গেছে তাই ঘনঘন রাগ হৃদরোগের আশঙ্কা আরো বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষকদের মত অনুযায়ী, শুধুমাত্র একটি শান্ত মনোভাব আপনাকে হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতবর্ষে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪১৩ জনের। ২০২২ সালে সেই পরিসংখ্যান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজারেরও বেশি জনে। এই ঘটনাটি যে বেশ উদ্বেগ জনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।