E-cigarette: সিগারেটের আধুনিক সংস্করণের দিকে এখন ঝুঁকেছেন অনেকেই। আর সেটি হল ই-সিগারেট। তবে এটি সিগারেটের মতো খারাপ নয়। বরং তার থেকে বেশি খারাপ। ই -সিগারেট নিয়মিত সেবন করলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে নিকোটিন আসক্তি, ফুসফুসের ক্ষতি এবং শরীরে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রবেশ। এই সমস্যাগুলি কেবল ধূমপায়ীর হবে তা নয়, যারা সেই সময় তাঁর সামনে রয়েছেন, তাদের শরীরেও দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানেও যথেষ্ট বিপদ।
আরও পড়ুন - Skin Cancer Signs: সামান্য ফোঁড়া বা আঁচিলও কখনও কখনও ত্বকের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে! কীভাবে বুঝবেন?
ই-সিগারেটের জেরে স্বাস্থ্যের যে যে সমস্যা
১. নিকোটিন আসক্তি: সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুসারে, ই-সিগারেটে নিকোটিন থাকে। এই নিকোটিন অত্যন্ত আসক্তি তৈরি করে। এছাড়াও এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে ব্রেনে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।২. ফুসফুসের ক্ষতি: ই-সিগারেট ভেপিং ফুসফুসের নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম EVALI (ই-সিগারেট বা ভেপিংয়ের সম্পর্কিত ফুসফুসের রোগ)। এর মধ্যে কিছু রোগ বেশ গুরুতর এমনকি প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
৩. ক্ষতিকারক রাসায়নিকের প্রভাব: ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় ভারী ধাতু, উদ্বায়ী জৈব যৌগ এবং কার্সিনোজেন সহ নানা রাসায়নিক থাকে। এগুলি ফুসফুসের গভীরে শ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন এগুলো ফুসফুসে জমে ফুসফুস বিকল করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন - Naboborsho 1432: আগেও হয়েছে নাম বদল, ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা! কীভাবে শুরু
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি - শুধু যে ফুসফুসের বিপদ বাড়িয়ে দেয়, তা নয়, হার্টেরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। ই-সিগারেটের নিকোটিন রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন দুটোই বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫। অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, ই-সিগারেট ভেপিং শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ একাধিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকিও থাকতে পারে ধূমপায়ীর।