তিলোত্তমার মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে গোটা বাংলা গর্জে উঠেছে। প্রতিবাদ মিছিল থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে আন্দোলন, কিছুই বাকি থাকেনি। এমনকি রাত জেগেও প্রতিবাদ করেছেন শহরে। কিন্তু বছর ঘুরে মা আবার এসেছেন তাঁর বাপের বাড়ি পুজো নিতে, সেই নিয়মরক্ষা তো করতেই হবে।
অন্যান্য বছরের মতো দেবী দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন প্রবাসী বাঙালিরাও। পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঙালি আছে সেই প্রান্তেই উদযাপন হচ্ছে শারদোত্সব। তা সে লণ্ডন হোক বা এডিনবার্গ।
আরও পড়ুন: (নবরাত্রির তৃতীয় দিনে দেবী চন্দ্রঘণ্টার পুজো, এই বছরের শুভ সময়, মন্ত্র জেনে নিন)
এই বছর লন্ডনের হান্সলোর বাঙালিদের মধ্যে এখন পুজোর ব্যস্ততা তুঙ্গে। সময় তো আর নেইই। প্রতিবছর সকল প্রবাসী বাঙালিরা একত্রিত হয়ে উত্সবে মেতে ওঠেন। আসলে বাঙালির বাঙালিকে খুঁজে নিতে দেরি হয় না তাতো সকলেরই জানা। এই বছর পরিস্থিতি খানিক অন্যরকম হলেও ভারাক্রান্ত মন নিয়েই বাংলার মেয়ের বিরুদ্ধে অপরাধের সুবিচার চেয়ে পুজোয় মন দেবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত এই বছর অষ্টমতম পুজো।আটচালার পুজো হয় এখানে। ক্যামেফোর্ড কলেজ প্রাঙ্গনেই প্রতিবার মা তাঁর পরিবার নিয়ে পুজো নেন। বিদেশের ঝাঁ চকচকে শহুরে জীবনের মধ্যে প্রতিবছর শারদ সাজের বাংলাকে খুঁজে পান এখানকার প্রবাসী বাঙালিরা। আর এখন পুজো এসে গিয়েছে তাই সব কাজ ভুলে এখন মাযের আরাধনায় মেতেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: (পুজোয় সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের ইচ্ছে ? দীঘা, মন্দারমণির বদলে যেতে পারেন এখানে)
আরও পড়ুন: (অফবিট জায়গা পছন্দের? পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন এই সুন্দর স্থান দুয়ারসিনিতে)
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের ৬৪ টি পুজোর মধ্যে আদিশক্তির পুজোর বিশেষ আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। এখনকার আয়োজন, সাজসজ্জা, পুজোর আড়ম্বর লন্ডনের আপামর বাঙালিকে একত্রিত করে নিমেষে। নানা রকম খাওয়া দাওয়া, আড্ডা, ধুনুচিনাচ সবই চলে। এই কয়েকটা দিনের জন্য তাঁরা ভুলেই যান যে তাঁরা তাঁদের প্রিয় রাজ্যতে নেই।
নবরাত্রির পুজোও করেন এখানকার বাঙালিরা। ডান্ডিয়া উৎসবও যেমন পালিত হয়, তেমনই হয় দেবীবরণ, সিঁদুরখেলা। ষষ্ঠীর বোধনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে উমা আসেন হান্সলোর বাঙালিদের ঘরে। সপ্তমী থেকে দশমী, রীতি মেনে পূজার্চনা করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও কিন্তু বাকি নেই। ছোট থেকে বড় সকলেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে এই বছর তিলোত্তমার মৃত্যুতে মনে দু:খ নিয়েই সকল উদ্যোগে এগোচ্ছেন তাঁরা, তা স্বীকার করেছেন প্রত্যেকেই।