তুলসী গাছ বাড়িতে রাখলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে না। হিন্দু গৃহস্থ বাড়িতে সন্ধ্যেবেলা তুলসী তলায় বাতি দেওয়ার দৃশ্য বহু প্রাচীন। এক প্রকার ঈশ্বর জ্ঞানেই পুজো করা হয় তুলসী গাছকে। তবে শুধু ধার্মিক দিক থেকে তুলসী গাছের ভূমিকা অনস্বীকার্য তা নয়, এই গাছটির রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ।
তুলসী পাতায় থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, আয়রন ,দ্রবনীয় এবং অদ্রবনীয় ফাইবার সহ একাধিক পুষ্টিগুণ। তাই ছোট থেকেই তুলসী পাতার রস খাওয়ার কথা বলেন বড়রা। সামান্য সর্দি কাশি হলেই মধু দিয়ে তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম চলে আসছে বহু যুগ ধরে। তবে সর্দি কাশি হলে নয়, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতার রস খেলে পাবেন একাধিক উপকারিতা।
(আরো পড়ুন: রান্নাঘরে থাকা এই ২ উপাদানেই নিমেষে পরিষ্কার হবে কাঠের বাসন!)
তুলসীর জল রোজ খেলে কী কী উপকারিতা পাবেন আপনি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তুলসী পাতায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউনোমডুলেটরি বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায়। তাই সর্দি কাশি হলে বাড়ির বড়রা তুলসী গাছের পাতার রস খেতে বলেন।
মানসিক অবসাদ কমায়: আপনি হয়তো জানেন না, মন শান্ত করার ক্ষেত্রে তুলসির পাতার জুড়ি মেলা ভার। তুলসী গাছের পাতায় থাকে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন সি যা আপনার স্নায়ুকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক অবসাদ কমায়।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়: বদহজম বা গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে তুলসী গাছের পাতা। প্রতিদিন তুলসী গাছের পাতার রস খেলে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তুলসীতে থাকি এমন একটি হজমকারী এনজাইম, যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখে এবং অস্বস্তি কমায়।
(আরো পড়ুন:অতিরিক্ত গরমে চোখে হতে পারে স্ট্রোক, কীভাবে রক্ষা পাবেন আপনি)
কীভাবে খাবেন তুলসী পাতার রস
বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে খুব সহজেই তুলসী পাতার রস তৈরি করতে পারবেন আপনি। প্রথমে এক মুঠো তুলসী পাতা তুলে নিয়ে আসুন। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিটের জন্য পাতাগুলি সেদ্ধ করতে দিন। এরপর সেগুলি একটা জায়গায় ছেঁকে নিন এবং জল ঠান্ডা করতে দিন।
যদি মিষ্টি খেতে চান তাহলে মধু যোগ করুন। তবে চিনি মেশাবেন না, এতে তুলসী পাতার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন তুলসী পাতার জল। সার্বিকভাবে সুস্থ থাকবেন আপনি।