রিচের মোহ একবার যাকে ধরেছে, তার যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। এই রিচ পেতে মানুষ কি না করে। বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া তার প্রমাণ। এবার প্রমাণ হয়ে উঠছে মরণপ্রায় নিরপরাধ পশুরাও।
Ad
দেদার দেখানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিয়ো
পশুপ্রেমীদের গ্রুপে পশু নির্যাতনের ভিডিয়ো। ব্যাপারটা আপাতভাবে বিপরীত ঘটনা বলে মনে হলেও আদতে এমনটা ঘটছে বেশ কিছু কারণে। পশুপ্রেমীদের প্রায়ই খবর রাখতে হয় কোথায় কোথায় পশু নির্যাতন হচ্ছে। সেই সুযোগেরই অপব্যবহার শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। কয়েকজন নেট ইনফ্লুয়েন্সার তথা ক্রিয়েটর এই ধরনের ভিডিয়ো বেশি বেশি করে জোগাড করছেন ও পোস্ট করছেন। উদ্দেশ্য একটাই - রিচ!
নারকীয় দৃশ্য স্ক্রোল করলেই
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োর কোনওটায় দেখা যাচ্ছে আহত কুকুর ছটফট করছে, আবার কোনওটায় দেখা যাচ্ছে একটি হস্তিশাবককে উলটো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে চুল্লির মধ্যে। এর মধ্যেই আবার রয়েছে পশু নির্যাতনের আরও নৃশংস ভিডিয়ো। যেমন একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি সারমেয়র ছানাকে কয়েকজন মিলে রড দিয়ে পেটাচ্ছেন। পেটাতে পেটাতে মাথা দুভাগ করে দিচ্ছেন। কিন্তু কেন এই ধরনের ভিডিয়ো বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে সমাজমাধ্যমে? শুধুই কি প্রমাণ দেখিয়ে অভিযোগ জানাতে চান পোস্টদাতারা? নাকি নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়াতেও হাতিয়ার করছেন পশুদের নারকীয় নির্যাতনকে?
পশুপ্রেমীদের একাংশের মতে, ইনকাম কমে গিয়েছে বলে এখন বহু ক্রিয়েটরই রীতিমতো কান্না জুড়ে দিয়েছে। এখন এই ধরনের ভিডিয়োর রিচ বেশি। যারা নিজে থেকে কিছু বানাতে পারেন না, সৃজনশীল কিছু করার জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়, তাদের আর কিছুই করার নেই এই ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করা ছাড়া। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ভিডিয়ো অনেকের নজর কাড়ে, সহানুভূতি আদায় করে, ফলে এই ধরনের ভিডিয়োতে টেকনিকালি রিচও আসে বেশি। এই রিচ পেতেই হাতিয়ার হয়ে উঠছে ভিডিয়োগুলি।
এক পশুপ্রেমীর কথায়, সত্যিই যদি কোনও পশু নির্যাতনের অভিযোগ জানানোর দরকার হত, তাহলে ফেসবুকে তা লিখেই জানানো যায়। তার সঙ্গে সবসময় ভিডিয়ো পোস্ট করা বাধ্যতামূলক নয়। এই ধরনের ভিডিয়ো একরকম গ্রাফিক ভায়োলেন্স যা মানুষ সোশাল মিডিয়ায় বেশি দেখতে পছন্দ করেন!